ইকবাল এতদিন কোথায় ছিল, প্রশ্ন মির্জা আলমগীরের

ইকবাল এতদিন কোথায় ছিল, প্রশ্ন মির্জা আলমগীরের

‘কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া যুবক ইকবাল হোসেন এতদিন কোথায় ছিল’—এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এটা তো পরিষ্কার, পত্রপত্রিকাগুলো সব দেখেন, দেখলেই বুঝতে পারবেন। সবাই এটা মেনে নেয় যে সরকারের মদত ছাড়া কখনও সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি হয় না। যারা সরকারে থাকে তারাই করে।’

শারদীয়া দুর্গাপূজার সময়ে বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার কয়েকটি ঘটনা প্রসঙ্গে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টি তার ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যে পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে, এই যে ইকবালের কথা কিছুক্ষণ আগে একজন বললেন, ইকবাল বলা যেতে পারে একজন অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি এবং মাদকসেবী। সে এতদিন কোথায় ছিল? এই বিশ্বাসটা কে করবে? কারা তাকে সেখানে নিলো?’

সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলার প্রসঙ্গ টেনে সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেন আপনারা (সরকার) ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে গেলো, সেখানে কোনও পুলিশ পাঠালেন না, পুলিশ গেলো না বা পুলিশ থেকেও কোনও ব্যবস্থা নিলো না। কেন এটা হলো?’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘রংপুরের ঘটনায় দেখলাম আমরা একদিকে ওসি, চেয়ারম্যান সবাই মিলে আলোচনা করছে, একটা আপস করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বাইরে থেকে এসে লোকজন মালোপাড়া জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তাহলে কি আমরা বলবো যে তাদের ছত্রছায়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।’

ফখরুল বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনার পর ওবায়দুল কাদের সাহেব কী করলেন? যখন ঘটনাগুলো ঘটলো প্রথমে ওবায়দুল কাদের সাহেব বললেন, এটা বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা করেছে। কথায় কথায় উনি একটাই কথা বলবেন, যত দোষ নন্দ ঘোষ।’

‘আপনাদের চরম ব্যর্থতা যে আজকে এই সমাজে কোনও মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারেন না। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, তারা যে ধর্ম বিশ্বাস করেন, তারা তাদের ধর্ম পালন করবেন; মুসলিম ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম পালন করবেন; বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবেন; খ্রিষ্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবেন—এটাই তো বাংলাদেশ। আপনারা (সরকার) কী করছেন? অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছেন, যা হাজার বছর ধরে চলে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে শুধু মানুষের দৃষ্টিটা, মানুষের মনোযোগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার এই বিষয়টাকে সামনে নিয়ে এসেছে।’