বরগুনায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বরগুনায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

শোক দিবসে এমপির সামনেই বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের একাংশকে লাঠিপেটার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর বিচার ও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। একই সময় জেলার উপজেলাগুলোতেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর কুশ পুত্তলিকা দাহ করা হয়।

সমাবেশে সাংসদ শম্ভু বলেন, শোক দিবসের দিন জেলা শিল্পকলা একাডেমি সামনের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের ছেলেদের কোন দোষ ছিলনা, তবুও নির্বিচারে পেটানো হয়েছে। এডিশনাল এসপি মহররম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ এমন জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই এবং এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার সকল খরচ বহন করবে জেলা আওয়ামী লীগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নিজ হাতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার এ অগ্রযাত্রায় বাধা দিতে কুচক্রীরা এখনও সক্রিয়।

তিনি আরও বলেন, বরগুনার ইতিহাসে এবার জেলা ছাত্রলীগের সবচেয়ে নোংরা কমিটি হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাথে কাউন্সিলিং না করে অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। আজ যোগ্যরা কমিটিতে থাকলে এত কিছু হতনা। আজ থেকে এই কমিটি বরগুনায় অবাঞ্ছিত করা হলো। এ কমিটি স্থগিত করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেয়ার দাবি জানান এমপি। সভায় অন্যান্য বক্তারাও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর বরখাস্তসহ জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন এবং জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন।

বক্তারা আরও বলেন, এ মহররম ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন, তার বাবা-চাচা বিএনপির নেতা ছিলেন। সে ছাত্র জীবনে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিল। তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের ছাত্রলীগকে পিটিয়েছে। শুধু বদলী করলেই আমরা সব ভুলে যাব না। আমরা ওই মহররমের বরখাস্ত এবং বিচার চাই।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন মন্টু, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য মশিউর রহমান শিহাব, যুবলীগের সভাপতি রেজাউল কবির এ্যাটম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দীন সাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিকসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের নেতৃবৃন্দ।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন বরগুনায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র।