আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ১২তম সংসদীয় নির্বাচনকে প্রচণ্ড ঝুঁকির মুখে ফেলবে। অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনাকে সুদূর পরাহত করবে। এটা গণতন্ত্র নির্বাচন ও ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত।’
আবদুর রব বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নির্বাচনে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর নীল নকশার অংশ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে রব বলেন, ‘এটা একেবারেই গণ আকাঙ্ক্ষা বিরোধী। বাংলাদেশের একজন ভোটার নাই যিনি ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।ইভিএম বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগিতা প্রশ্নে সাংঘর্ষিক।ভোটাররা ইভিএম ব্যবহার যেমন স্বাচ্ছন্দ নয়, তেমনি ইভিএম ত্রুটিমুক্ত নয়। ইভিএমের ওপর জনগণের ন্যূনতম আস্থা নেই। ইভিএম জনগণের কাছে জালিয়াতির বক্স হিসেবে পরিচিত।’
আগামী সংসদ নির্বাচনকে নির্বাচনী নাটকে পরিণত করার মহড়া প্রদর্শনীর এই আয়োজন জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করেন জেএসডি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে এবং ভূরাজনীতিতে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। যা কোনোক্রমেই দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার সহায়ক হবে না।’
অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান আবদুর রব।