কারচুপির জন্য ইভিএমে ভোট করতে চায় ক্ষমতাসীনেরা: জি এম কাদের

কারচুপির জন্য ইভিএমে ভোট করতে চায় ক্ষমতাসীনেরা: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, কারচুপি করতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনের ওপর সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই। এখন সব ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী কোনো সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এ কথা বলাই যায়। একই নির্বাচন কমিশন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারলেও দলীয় সরকারের অধীনে সেটি সম্ভব হয়নি। কারণ, নির্বাচনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের প্রার্থীদের সঙ্গে অন্য প্রার্থীদের কখনোই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না।’

সরকারের সমালোচনা করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, কেউ দেশ ও মানুষের কথা বললেই তাঁকে দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই তাঁকে দেশদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এমন বাংলাদেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। দেশে মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নেই। গণভবনের একজন কর্মচারীর যে সম্মান আছে, তা এখন মন্ত্রী–এমপিদেরও নেই। সরকারি কর্মচারীরা এখন লাগামহীন। মানুষের সম্মান ও মর্যাদার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘মানুষের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ে এখন কট্টর বিএনপি ও কট্টর আওয়ামী লীগ থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একই মোহনায় হাজির করতে হবে। যৌবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেমে পড়েছি, পরে পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকেও ভালোবেসেছি। দেশ ও মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধু ও পল্লিবন্ধুর ভালোবাসা ছিল সবকিছুর ঊর্ধ্বে। বঙ্গবন্ধু ও পল্লিবন্ধুর প্রতি সাধারণ মানুষের এখনো গভীর অনুরাগ আছে। এটি কাজে লাগিয়ে আমরা মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন ও সালমা ইসলাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।