‘আয়নাঘর’ বন্ধ করুন: জোনায়েদ সাকি

‘আয়নাঘর’ বন্ধ করুন: জোনায়েদ সাকি

‘আয়নাঘর’ নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা চেয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ মঙ্গলবার দলটির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে ‘আয়নাঘর’ নামে গোপন স্থানে আটকে রাখাসংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। আজ ‘আয়নাঘরে নির্যাতন বন্ধ করা’সহ একাধিক দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ হয়।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এখন এটা পরিষ্কার, কার তত্ত্বাবধানে গুম–খুন হয়। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা আয়নাঘর বানিয়েছে। ব্যাখ্যা চাই কোন আইনে আপনারা আয়না ঘর বানান। কোন আইনে আটজন নাগরিককে ধরে নিয়ে দিনের পর দিন আপনারা নির্যাতন করেন। এ জবাবদিহি আপনাদের দিতে হবে।’

‘মিছিলে পুলিশি হত্যাকাণ্ড ও আয়নাঘরে নির্যাতনের বিচার, চা–শ্রমিকদের দাবি মানা, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর দাবি’তে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

সরকারের উদ্দেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রতিদিন তারা বলেন, আমরা (সাধারণ মানুষ) নাকি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বড়লোক হয়ে যাই। মাথাপিছু আয় কেবল বেড়েই চলে। আর তাদের উন্নয়নের জোয়ার কীভাবে ফানুস হয়ে গেল, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন শ্রমিকেরা। চা–শ্রমিকদের ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে খাবারও ঠিকমতো জোটে না। কিন্তু তা না মালিকপক্ষের কানে যাচ্ছে, না সরকারের কানে যাচ্ছে। তাঁদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর সাম্প্রতিক কথাবার্তার তীব্র সমালোচনা করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে থেকে সরাসরি ভারতকে এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে বলেছেন। ভারতে গিয়েও বলে এসেছেন, শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করার দরকার ভারত যেন করে। অর্থাৎ বাংলাদেশে দমনপীড়ন চালিয়ে হলেও ভারত যেন সাহায্য করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আক্তার, মনির উদ্দিন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাস নাইন, দীপক রায়, জুলকারনাইন ইমন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয় এলাকার জিরো পয়েন্টের সামনে গেলে পুলিশ বাধার মুখে পড়ে।