বাসায় ঢুকে যুবদল নেতাকে না পেয়ে তার বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

বাসায় ঢুকে যুবদল নেতাকে না পেয়ে তার বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

রাজধানীর ওয়ারী থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল মেহবুব মিজুর বাড়িতে হামলা করে অজ্ঞাত নামা কিছু ব্যক্তি। ফয়সালকে না পেয়ে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার বৃদ্ধ বাবা মিল্লাত হোসেনের (৬৭) মাথায় আঘাত করা হলে মারাত্মক আহত হন তিনি। তাকে স্থানীয় আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর রাজধানীর ওয়ারী থানার ৩৮ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. মিল্লাত হোসেনের ছেলে ফয়সাল মেহবুব মিজু অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলা চালানো হয়। প্রায় অর্ধ শতাধিক লোক আমাকে মারার জন্য আমার বাসায় যায়। কিন্তু তারা আমাকে না পেয়ে আমার বাসায় ভাঙচুর চালায়। তারা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমার বাবাকে কিছু একটা দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করেছে। যার ফলে অনেক ব্লিডিং হয়েছে। রক্তে পুরো ঘর ভেসে গেছে। আমার বাবা একজন সাধারণ নিরপরাধ মানুষ। কখনও কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

এসময় তার এক চাচাকেও তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন যুবদলের সাবেক এই নেতা। তিনি বলেন, তার এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে তার বাবা মারা গিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘জানি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পাবো না। তবুও আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। যারা আমার নিরপরাধ বয়স্ক বাবাকে হত্যা করেছে এই দুনিয়ায় বিচার না পাইলে আল্লাহ একজন আছেন, তিনি অবশ্যই শেষ বিচার করবেন। কী দেশে আছি , মধ্যে রাতে কেউ কারো বাসায় গিয়ে এভাবে হামালা চালায়? মানুষ খুন করে? আমাদের কি সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার বা রাজনীতি করার অধিকার নেই?’

এ বিষয়ে ওয়ারী থানার ডিউটি অফিসার বলেন, ঘটনাটি শোনার পর ওয়ারী থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে এখনও এর কোনও ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়নি। ‌তাছাড়া এ বিষয়ে এখনও কোনও অভিযোগ বা মামলা দায়ের হয়নি। মামলা হলে আমার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।