খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় আগামীকাল মুক্ত করা হবে: মঈন খান

খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় আগামীকাল মুক্ত করা হবে: মঈন খান

ঢাকা, ৭ মে (জাস্ট নিউজ): বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আগামীকাল আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, আমরা দেশের সুশৃঙ্খল আইন মান্যকারী নাগরিক হিসাবে মিথ্যা ও রাজনৈতিক মামলা জানা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আইনের বিধান অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। আগামীকাল আমরা তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করে আনব।

সোমবার জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আজকে আমাদের দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া একটি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতেও কিন্তু দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের মানুষের কল্যাণের স্বার্থে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নেব। কারণ দলীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষা করা। যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ। আমরা সেই আদর্শে বিশ্বাসী হয়েই কিন্তু এই নির্বাচনে গিয়েছিলাম।
কিন্তু তার ফলাফল দেখুন কি হলো? আশ্চর্যের বিষয় যখন সরকার বিগত কয়েক দিন আমরা দেখলাম নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনা প্ররোচণায় ধরপাকড় শুরু করেছে। আমাদের মধ্যে ভয়, ভীতি, আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। সেই পুরানো টেকনিক যাতে কেউ ভোট দিতে না যায়।

তিনি বলেন, এতকিছু করার পরও সরকার যখন বুঝতে পেরেছে গণজোয়ারের এই ঢেউ আর ঠেকানো যাবে না তখন তারা বাধ্য হয়ে আইনের অছিলায় তারা সেই নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তো আর এতো বোকা নয়, তারা বুঝতে পেরেছে কেনো এই নির্বাচন বন্ধ হলো।

আগামী নির্বাচনে বিএনপির কোনো দলকে ডাকা হবে না আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের ডাকলো কি ডাকলো না তার ওপর আমাদের নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নির্ভর করবে না। আমরা নির্বাচনে যাব কি যাবনা সেটা আমাদের বিচার বিবেচনা, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা, সুষ্ঠুতা এসব কিছুর উপর নির্ভরশীল হবে। তবে একটা কথা সেটা হলো বেগম খালোদা জিয়াকে কারাগারে রেখে অন্যায়ভাবে তার ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হলে আমরা তা মেনে নিব না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহা আলম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শফিক, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬১৯ঘ)