রাজনীতি ধ্বংসের কারিগর এই সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

রাজনীতি ধ্বংসের কারিগর এই সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

বাংলাদেশকে নির্বাচনবিহীন এক ব্যক্তির দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ‘নৌকা’ প্রতীক ছাড়া এখন কেউ নির্বাচন করতে চায় না। রাজনীতি ধ্বংসের কারিগর এই সরকার।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘একতরফা নির্বাচন বর্জনের’ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন।

গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল কৃষিমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, তার বক্তব্যে স্পষ্ট যে দেশে আইন–আদালত কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলেছিল। তাদের ভয় ও লোভ দেখিয়ে নির্বাচনে আনা হলো।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর প্রসঙ্গ টেনে আবুল হাসান রুবেল বলেন, তারাও (মেনন–ইনু) এখন নৌকা ছাড়া নির্বাচন করতে পারেন না। তাদের রাজনীতিও শেষ হয়ে গেছে। এই সরকার রাজনীতি ধ্বংসের কারিগর।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, নির্বাচনহীন একক ব্যক্তির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে সামনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট আসছে।

ব্যাংক থেকে লুটপাটের যে তথ্য সিপিডি তুলে ধরেছে, তার সূত্র ধরে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকারই লুটকারীদের রক্ষা করছে।

সংসদ ভেঙে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশকে সংঘাতের পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার খরচ করে ভোটের নাটক হতে যাচ্ছে। যে নাটকের কারা অভিনয় করবেন, সবই ঠিক আছে, এখন শুধু অভিনয়টা বাকি।

জেএসডির এই নেত্রী বলেন, তরুণেরা শিখছে ক্ষমতায় আসতে ভোট লাগে না, অন্যায় ও মিথ্যাচার করে পার পাওয়া যায়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বহ্নি শিখা জামালী। এ ছাড়া নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি উপস্থিত ছিলেন। তারা অবশ্য কোনো বক্তব্য দেননি। মঞ্চ থেকে জানানো হয়, আগামীকাল রবিবার তোপখানা রোডে একই দাবিতে তারা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবেন।

আজকের সমাবেশ শেষে মঞ্চের নেতা–কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে কাকরাইল পর্যন্ত যান।