
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবনে চলছে টানা অবস্থান কর্মসূচি। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে ইশরাকের সমর্থকদের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরাও আন্দোলন করছেন। তারা নগর ভবনের মূল ফটক ও সব বিভাগের অফিস গেটে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। তারা ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে নানা স্লোগান দেন। দুপুরের দিকে নগর ভবনের মূল ফটক ও ভেতরের অংশে ভিড় জমে যায়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, কী কারণে মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ পড়ানো আটকে আছে— তা আমাদের জানা নেই। ইশরাক হোসেনের শপথ ছাড়া নগরভবনের তালা খোলা হবে না। জনগণের মেয়র ইশরাক, প্রতিটি নগরবাসী ইশরাককে মেয়র হিসেবে চায়। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নগর ভবনের সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন বলেন, সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, অবিলম্বে গেজেট বাস্তবায়ন করে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব দিন। অন্যথায় আমাদের বাধ্য করা হবে কঠোর আন্দোলনে যেতে।
ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৪ মে থেকে টানা ২০ দিন ধরে আন্দোলনে নগর ভবনের সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। করপোরেশনের কর্মকর্তারা অঘোষিত ছুটিতে আছেন।
সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অভিযোগ করেন, ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করতে না দিয়ে সংবিধান ভঙ্গ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের দায়িত্বরত সচিব বা যে উপদেষ্টারা আছেন, তারা সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। আর্টিকেল ১১৮ এর অনুচ্ছেদ ৪ এ সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে এবং নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর্টিকেল ১২৬ এ বলা হয়েছে, নির্বাহীরা নির্বাচন কমিশনকে সকল কাজে সহযোগিতা করবে। এক্ষেত্রে আমরা দেখলাম এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে। আর এ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে বিধায় শপথ গ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি।