নিহত মিমের বাসায় মির্জা আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা

নিহত মিমের বাসায় মির্জা আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা

ঢাকা, ৩ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূরের বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা মিমের মহাখালির বাসায় যান। দিয়ার বাসায় বিএনপি মহাসচিবসহ অন্যরা প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করেন।

তারা দিয়ার বাবা-মাসহ ভাই-বোনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। মির্জা আলমগীর দিয়ার পরিবারের সদস্যদের বলেন, তার দল সবসময়ে তাদের পাশে থাকবে।

বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই ঘটনাটি জেনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জেল থেকে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই শোকাভিভূত পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে আমাদেরকে বলেছেন।

দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম বাসায় এসেছিলেন। তার সঙ্গে আরো কয়েকজন নেতা ছিলেন। তারা আমাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন। বলেছেন, সন্তান তো ফেরত দিতে পারবো না। কিন্তু আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সবসময় আপনাদের পাশে আছি।’

জাহাঙ্গীর ফকির বলেন, ‘ওনারা যখন বাসায় আসেন, আমি তখন বাসায় ছিলাম না। পরে বাসায় গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ১৫-২০ বাসায় ছিলেন। পরে চলে গেছে।’

গত রবিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের মুখে জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস প্রতিযোগিতা করে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল করিম রাজু ও প্রথম বর্ষের ছাত্রী দিয়া খানম মিম নিহত হন।

এ ঘটনার পর থেকেই রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের মতো রাজধানীকে প্রায় অচল করে দিয়ে বিক্ষোভ এবং অবরোধ করেন তারা। সতীর্থদের ‘হত্যা’র বিচারসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নয় দফা দাবি জানিয়ে আসছে তারা।

(জাস্ট নিউজ/একে/০০১০ঘ.)