বাংলাদেশে বিরোধীদলের কারাবন্দি অবশিষ্ট নেতা-কর্মীদের মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের

বাংলাদেশে বিরোধীদলের কারাবন্দি অবশিষ্ট নেতা-কর্মীদের মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের Photo: Mushfiqul Fazal, Just News BD

বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মুশফিকুল ফজল আনসারী, জাতিসংঘ স্থায়ী সংবাদদাতা

বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত 'ডামি'  নির্বাচনের পূর্বে কারাগারে আটক ২৫ হাজারের অধিক বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির আহ্বান পুর্নব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।

বুধবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে বিরোধীদলের ওপর চলমান নিপীড়ন এবং কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তি ইস্যুতে জাতিসংঘের বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বলেন, বিরোধীদলের কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির বিষয়ে তারা পূর্বের অবস্থানে অনঢ় রয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, "৭ জানুয়ারির জালিয়াতির নির্বাচনের পূর্বে বিরোধীদলের ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে জেলে বন্দি করা হয়। এরই মধ্যে বিরোধীদলের ১৩ কর্মী কারা হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কয়েকজনকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখনো যারা জেলে বন্দি আছেন তাদের মুক্তির জন্য জাতিসংঘ কী  আহ্বান জানাবে?"

জবাবে ডোজারিক বলেন, "আমি মনে করি জাতিসংঘ এ বিষয়ে তার অবস্থানে অনঢ় রয়েছে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে শুধুমাত্র মত প্রকাশের অপরাধে যাদেরকে জেলে বন্দি করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিতে আমরা অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।"

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধীদলের ২৫ হাজারের বেশী নেতা-কর্মীকে ৭ জানুয়ারির জালিয়াতির নির্বাচনের পূর্বে গ্রেফতার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। বিরোধীদল বিএনপি গত ৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে কারাহেফাজতে দলটির ১৩ নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিরোধীদলের অল্প কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিয়েছে সরকার। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যৌথ হামলার পর ২৯ অক্টোবর গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল এবং ২ নভেম্বর আমীর খসরুকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। মহাসমাবেশে হামলার পর তাকেও গত বছরের ৩১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিলো। 

এমআর/