নারী কেলেঙ্কারি: সেই ইউএনওকে গ্রহণ করছে না আইসিটি বিভাগ

নারী কেলেঙ্কারি: সেই ইউএনওকে গ্রহণ করছে না আইসিটি বিভাগ

নারী কেলেঙ্কারী ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সেই নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইমতিয়াজকে গ্রহণ করেনি সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম ও নারী ঘটিত নানা অভিযোগ ওঠায় তাকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আইসিটি বিভাগের সহকারী নিয়ন্ত্রক হিসেবে রোববার যোগ দিতে গেলে গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট দফতর।

আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাহিরপুরের সাবেক ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজকে এখানে (আইসিটি বিভাগ) বদলি করা হয়। তবে আমরা তাকে এখনও রিসিভ করিনি এবং করাও হবে না। তিনি গতকাল (রবিবার) এসেছিলেন।

‘দাফতরিক কাগজপত্র দেখেছি কিন্তু আমরা তাকে গ্রহণ করব না। এর জন্য আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেব। বাকিটা তারা বুঝবেন।’ এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও অবগত রয়েছেন বলে জানান তিনি।

সচিব জিয়াউল আলম বলেন, এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী মহোদয় অবগত আছেন। ইতিমধ্যে তিনি জানিয়েছেন, তাকে (আসিফ) আমরা দায়িত্বভার দেব না। আইসিটি বিভাগে আমরা এমন কোনো বিতর্কিত কর্মকর্তাকে রাখতে পারি না। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে শুনেছি। ‘তদন্তে কী হবে, না হবে সেটা সংশ্লিষ্টদের ব্যাপার। তবে এখন তাকে আমাদের এখানে জয়েনিং দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মহোদয়।’

উল্লেখ্য, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে এক তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ওই তরুণীকে না জানিয়ে তার নামে বিভিন্ন দলিল দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ও লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আসিফকে আইসিটি বিভাগের কন্ট্রোলার অব ডিজিটাল সার্টিফাইং অথরিটি বিভাগে সহকারী নিয়ন্ত্রক পদে বদলি করা হয়। নতুন কর্মস্থলে রোববারের মধ্যে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

ওই সময়ের মধ্যে যোগ না দিলে ‘স্ট্যান্ডরিলিজ’ (তাৎক্ষণিক অব্যাহতি) হয়ে যাবেন তিনি। এ বিষয়ে আসিফ ইমতিয়াজ গণমধ্যমকে বলেন, আইসিটি বিভাগের সচিবের কাছে আমার পোস্টিং লেটার জমা দেওয়া হয়েছে। তার অনুমতি ছাড়া আমি কোনো মন্তব্য করতে পারি না।

উল্লেখ্য, ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ২টি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। একটি হল, প্রেমিকার সম্মতি ছাড়াই গোপনে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে অস্বাভাবিক টাকা লেনদেন। এছাড়া বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সময় কাটানো।