বন্যায় সিলেটে ২২১ কি.মি. সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বন্যায় সিলেটে ২২১ কি.মি. সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

তিন দফা বন্যায় সিলেটের ৫২১ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের ৯টি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সড়কপথ ক্ষতিগ্রস্ত। সিলেটের ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ এলাকা কম রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুরের রাস্তা। ক্ষতির পরিমাণ ২৬০ কোটি টাকা।

সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যার পানিও নেমে গেছে দিন পনের আগে। তবে গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে বন্যা রেখে গেছে তার ভয়াবহতার ছাপ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়ক। আধা পাকা ও ব্রিক সলিং রাস্তাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি জলের তোড়ে ধ্বসে গেছে অনেক সড়ক নিশানা হারিয়েছে।

প্রথম দুইদফা বন্যায় কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও গোলাপগঞ্জের গ্রামীণ সড়কগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি থাকলেও তৃতীয় দফা বন্যা শেষে তা ছড়িয়ে পড়েছে সিলেটের প্রায় ৯ উপজেলায়। এতে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এলজিইডি সিলেটের তথ্য অনুযায়ী দিন-দুয়েকের ব্যবধান রেখে সিলেটে টানা তিনদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২১ কিলোমিটার সড়ক। যেখানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৬০ কোটি টাকা।

এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন- ‘প্রথম দফায় বন্যা হওয়ার পর আমরা একটি তালিকা তৈরি করে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে দেখা গেলো ২য় এবং ৩য় দফায় বন্যা হয়েছে। এর পর আমরা আবার একটি তালিকা তৈরি করেছি। আমাদের তালিকা অনুযায়ী সিলেট জেলায় মোট ৫২১ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ ২৬০ কোটি টাকা। তবে এ টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। কারণ অনেক রাস্তা এখনো পানির নিচে রয়েছে। পানি সরলে সঠিক হিসেব বুঝা যাবে।’

তিনি আরও জানান, সরকার থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শিগগিরই ঢাকা থেকে একটি টিম আসবে। তারা এসে যাচাই বাছাই করে তার পর টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার কাজ করা হবে।

এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ চলতি বছরের কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে চলতি বছরেই কাজ শেষ করা। কারণ করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও এ অর্থ বছরে সকল সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।’ সরকার থেকে বরাদ্দ পেলে চলতি বছরেই সকল সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে- বন্যার আগে থেকে সিলেট-বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর ও বেগমপুর-জগন্নাথপুর সড়কে কাজ শুরু করেছিলো এলজিইডি। সেই কাজ বন্যা পরবর্তী সময়ে দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হবে জানিয়েছেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী।