মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভায় বক্তারা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে

লন্ডন, ২০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিজয়ের ৪৬ বছর পরও দেশের জনগণ প্রকৃত বিজয় উপভোগ থেকে বঞ্চিত। অবৈধ আওয়ামী বাকশালী সরকার কর্তৃক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের অব্যাহত গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যা, নিপীড়ন-নির্যাতন, জেল-জুলুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারব্যবস্থায় সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সর্বোপরি লুটপাটের মাধ্যমে দেশের সকল প্রতিস্টানকে ধ্বংসের করে দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রেখেছে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ৪৭তম মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান এসব কথা বলেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদের পরিচালনায় পূর্ব লন্ডনের বার্ডেট রোডে যুক্তরাজ্য বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় মাহিদুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশের জনগন মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে পাকহানাদার বাহিনীর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে । এ বিজয় বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের, এ বিজয় বিশেষ কোন দলের নয়।

সভাপতির বক্তবে এম এ মালিক বলেন, বিজয়ের এ মাসে আমাদের শপথ নিতে হবে দেশে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না । তিনি বলেন, আওয়ামী বাশালীদের হুমকিতে জিয়ার সূর্য সৈনিকরা ভীত নয়। বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে পৌঁছে দিতে তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। আওয়ামী বাকশালীরা দশকে আজ একটি করদ রাজ্যে পরিণত করেছে। অবৈধ প্রধানমন্রী শেখ হাসিনা ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকি লন্ডনে বাংলাদেশকে অস্বীকার করে দেয়া বক্তবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এটাই তাদের আসল পরিচয়। এই বক্তবের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কাছের তাদের মুখোশ উন্মচিত হয়েছে। তিনি প্রবাসী কমিউনিটির সকলকে এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯দফা কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটা আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসবে গড়ে তুলে ছিলেন। বিএনপি যতবার দেশ শাসনের সুযোগ পেয়েছে ততবারই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, বাকশালী আওয়ামী লীগের ইতিহাস হত্যার ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস লুন্ঠনের ইতিহাস। আওয়ামী লীগ কখনোই গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক দল ছিল না। শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। কারন তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না । আজ শেখ হাসিনা আবার দেশে নব্য বাকশাল কায়েম করে জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে । তিনি সকলকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে মোকাবিলা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ গনতন্ত্রকে নির্বাসিত করে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে লিপ্ত হয়েছে দুর্নীতি, লুন্ঠন, ধর্ষণ, রাহাজানি, গুম-খুন ও অত্যাচার-নির্যাতনে। দেশের সমগ্র জনসাধারণকে সরকারের এই ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। অবৈধ সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে দেশকে পরিণত করেছে একটি করদরাজ্যে।

বক্তারা বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গনতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার, ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই হবে আজকের বিজয়ের দিনের শপথ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছ, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, সহ-সভাপতি এম লুতফুর রহমান, প্রফেসর এম ফরিদ উদ্দিন, গোলাম রাব্বানী সোহেল, সাবেক সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, সাবেক সহসভাপতি শাহ আকতার হোসেন টুটূল, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, কামাল উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নাসিম আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন টিপু, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব সাদিক মিয়া, আশরাফুল ইসলাম হীরা, মেসবাউজ্জামান সোহেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আহমেদ, খসরুজ্জামান খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে আর জসীম, কোশাদক্ষ আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক, যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান হেভেন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকতার, সহ-দফতর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট লিয়াকত আলী, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হোসেন গাজী, সহ ক্রীড়া সম্পাদক সরফরাজ আহমদে সরফু, সদস্য সালেহ গজনবী, গুলজার আহমেদ, কামাল চৌধুরী, এ জে লিমন, হাবিবুর রহমান, লুবায়েক আহমেদ চৌধুরী, আমিনুর রহমান আকরাম, শিশু মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বাদল, সাধারণ সম্পাদক এস এম লিটন, সাউথ ইস্ট বিএনপির সভাপতি সালেহ আহমেদ জিলান, নিউহাম বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেবুল মিয়া, সেন্ট্রাল লন্ডন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, এনফিল্ড বিএনপির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এম ফয়জুল হক, কলচেস্টার বিএনপির সভাপতি মিসবা উদ্দিন, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর এ আলম সোহেল, বিএনপিনেতা তোফায়েল বাসিত তপু, সুজাত আহমেদ, মাওলানা শামিম আহমেদ, এনফিল্ড বিএনপির সহসভাপতি আশিক মিয়া, মোঃ নুর বক্স, মাকসুদুর রহমান, লন্ডন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, সহসভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুর রব, তপু শেখ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রোমান আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সস্পাদক খালেদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ফয়সল আহমেদ, দফতর সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাসুক, সহ-কোষাধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউর রহমান, আফিফুল হক, এডভোকেট শেখ তারেকুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, সিনিয়র সহসভাপতি মিসবাহ বি এস চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, জাসাসের প্রধান উপদেষ্টা নাজিমুল ইসলাম লিটন, জাসাস সভাপতি এমাদুর রহমান এমাদ, সাধারণ সম্পাদক তাজবির চৌধুরী শিমুল, মহিলা দলের সদস্য সচিব আঞ্জনা আলম, জাসাস সহসভাপতি বদরুল ইসলাম, বন্যা আহমেদ, যুবদলনেতা আব্দুল হক রাজ, দেওয়ান আব্দুল বাছিত, মোস্তাক আহমেদ, সৈয়েদ লায়েক মোস্তাফা, আকতার হোসাইন শাহিন, রাজিব আহমেদ, বাবর চৌধুরী, সুরমান খান, শেখ কামাল তারেক, নুরুল আলী রিপন, শাজাহান হোসেন, আবুল খয়ের, শাহেল শাহ, শাহেদ আহমেদ, সুয়েদুল হাসান, মোশারফ হোসেন, শাকিল আহমেদ, মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি শরিফুল হক, জিয়াউল ইসলাম দিপু, ডালিয়া লাকুরিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শিমু, আজিম উদ্দিন, জাহেদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান, আকমল হোসেন, জুল আফরোজ, সাদেক আহমেদ, এমদাদুল হক, জামিল আহমেদ, মোফসল আলী, ছাত্রনেতা ইমতিয়াজ এনাম তামিম, মোঃ সফিউল ইসলাম মুরাদ, মাহবুবুর রহমান, রেজাউল করিম রিকি, ফুয়াদ আহমেদ, মনির আহমেদ, রেজান জামান,ফজলে রহমান পিনাক প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/প্রতিনিধি/জেআর/ওটি/১৩১০ঘ.)