প্রচণ্ড গরমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুড়িগ্রামে ৬ জনের মৃত্যু

প্রচণ্ড গরমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুড়িগ্রামে ৬ জনের মৃত্যু

ঢাকা, ১৯ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : হিটস্ট্রোকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় একজন প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে মারা যান। জানা গেছে, শনিবার ও রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রচণ্ড গরমে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

নিহতরা হলেন শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মর্দানা গ্রামের খুদু মণ্ডলের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম (৪০), ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের যুক্তরাধাকান্তপুরের জামাল উদ্দিন (৫২), পাঁকা ইউনিয়নের চরলক্ষিপুরের আফসার আলীর ছেলে আবদুল মালেক (৪০), উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী বাজারের শামশুল হক (৭০) ও উজিরপুর ইউনিয়নের নামোটোলার লোকমান খলিফার ছেলে ইফসুফ আলী (৪০)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার মোবারকপুর ইউনিয়নে অগ্রণী ব্যাংক শাখায় বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলনের জন্য ওই ইউনিয়নের বয়স্করা ব্যাংকের নিচে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে রোদের তাপ বৃদ্ধি ও অসহনীয় গরমের ফলে ত্রিমোহনীর বাজারের শামশুল হক পাশেই পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। মোবারকপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান মিঞা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে উজিরপুর ইউনিয়নের নামোটোলা গ্রামের (বর্তমানে পাগলা নদীর দক্ষিণে বহলাবাড়ি ঘাটের উপর বসবাসকারী) ইফসুফ আলী শনিবার বিকালে তর্তিপুর হাট থেকে কোরবানির গরু কিনে বাড়ি নিয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রচণ্ড রোদ ও গরমের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

পৌর এলাকার মর্দানা গ্রামের শরিফুল ইসলাম শনিবার সকালে মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে প্রচণ্ড গরমের কারণে মৃত্যুবরণ করেন বলে ওই এলাকার একাধিক সূত্রে জানা গেছে। উপজেলার যুক্তরাধাকান্তপুরের জামাল উদ্দিন রবিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে গরম সহ্য করতে না পেরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

পাঁকা ইউনিয়নের আবদুল মালেক গত শনিবার দিবাগত রাতে প্রচণ্ড গরমে মৃত্য হয় বলে পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। তবে স্থানীয়রা জানায়, সে রোগাক্রান্ত ছিল। এদিকে শিবগঞ্জে কয়েকদিন ধরে দুপুরের দিকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে।

এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষই এক বাক্যে এই প্রচণ্ড ও অসহনীয় গরমের কথা স্বীকার করেছেন। ইতিপূর্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও এই ধরনের প্রচণ্ড গরম দেখা দেয়নি।

উপজেলার ফসলী মাঠ ও ঘাটে কাজ করতে পারছেন না কৃষকেরা। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে না। এদিকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

নাগেশ্বরীতে হিটস্ট্রোকে ১ জন মারা গেছে। মৃত আলোমতি (১২) নারায়ণপুর ইউনিয়নের পাগলা বাজারের আছমত আলীর মেয়ে। পরিবার জানায়, শনিবার রাত ১২টার দিকে প্রচণ্ড গরমে তিনি অসুস্থ বোধ করে। এর কিছুক্ষণ পরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৮৩০ঘ.)