রাজধানীতে গ্যাস সংকট, বাসায় রান্না না হওয়ায় হোটেলে ভিড়

রাজধানীতে গ্যাস সংকট, বাসায় রান্না না হওয়ায় হোটেলে ভিড়

ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রাজধানীতে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দুপুরের রান্নার সময় চুলায় কোনো গ্যাসই থাকছে না। ফলে চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীদের। টানা কয়েকদিন ধরে এ সমস্যার মধ্যে রয়েছেন নগরবাসীরা। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। অনেক পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজধানীর মগবাজারের এমনই এক ভুক্তভোগী জানান, সকালের নাস্তা তৈরি হয়নি ওই বাসায় কারণ, গ্যাস ছিল না। দুপুরের রান্না শুরু করতে হয়েছে বেলা দুই টার পর থেকে। দুইটার পর গ্যাস আসলেও গতি খুবই কম। ফলে ছুটির দিনে পরিবারের সবাই কষ্ট করতে হয়েছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরেই রাজধানীর বাসা বাড়িতে দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। দিন দিন আরো বেশি প্রকট হচ্ছে গ্যাসের সংকট। কিছুদিন আগেও দিনের বেলায় গ্যাস পাওয়া না গেলে রাতে পাওয়া যেত কিন্তু এখন গভীর রাতেও গ্যাস থাকছে না বাসা-বাড়িতে। ফলে রাজধানীর অধিকাংশ বাসিন্দাদেরই তিন বেলা খাবারের জন্য হোটেলের উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। অনেকেই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে (লিকুইড পেট্রোলিয়াম) এলপি গ্যাস ব্যবহার করছে। ফলে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষদের ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

এদিকে, রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, চাহিদার বিপরীতে গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় রাজধানীর বাসাবাড়িতে এই সংকট তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু কিছু এলাকার বিতরণ লাইনগুলো অনেক সরু হওয়ার কারণেও এই সমস্যা হচ্ছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মসিউর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতিই সমস্যার মূল কারণ। রাজধনীতে গ্রাহকের চাহিদা দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে আমরা পাচ্ছি ১৭০০ ঘনফুট গ্যাস। প্রতিদিন ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংকট রয়েছে। ফলে গ্যাসের সংকট বেড়েছে। কিছু কিছু এলাকায় বিতরণ লাইনগুলো অনেক সরু। ফলে লাইনের শেষ প্রান্তে থাকা গ্রাহকরা গ্যাস পেতে সমস্যা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মগবাজার, গ্রিন রোড, পশ্চিম ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বসিলা, যাত্রাবাড়ি, আদাবর, পশ্চিম আগারগাঁও, বাড্ডা, শ্যাওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কাফরুল, লালবাগ, সোবহানবাগ, ইন্দিরা রোড, তাঁতি বাজার, শাঁখারি বাজার, কামরাঙ্গীর চর, উত্তরা, দক্ষিণ খান, বনশ্রী ও রামপুরা এলাকায় গ্যাস সংকট সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকার লোকজন রান্নার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজে নিয়েছেন বা হোটেল থেকে তৈরি খাবার কিনে খাচ্ছেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৪০ঘ.)