২০ দলের বৈঠক

৩ সিটিতে একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত

৩ সিটিতে একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত

ঢাকা, ৪ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় রাজশাহী, সিলেট, বরিশালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বুধবার বিকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে জোটের নেতারা একক প্রার্থীর পক্ষে সম্মলিতভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। তিন সিটিতে ২০ দলীয় জোটের একজন করে প্রার্থী থাকবে। এবং সেই মেয়র প্রার্থীর জন্য সবাই একযোগে কাজ করবে।

সিলেটে জামায়াতের প্রার্থীকে ২০ দলীয় জোট সমর্থন দেবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেন, এখনও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে যায়নি। আমরা একজন প্রার্থীর জন্য কাজ করবো। সিলেট সিটিতে জামায়াতের প্রার্থীকে সমর্থন দেবো কিনা সেটা চূড়ান্ত হলে জানতে পারবেন। তবে সিলেটে বিএনপি যে প্রার্থী দিয়েছে ২০ দলীয় জোট সেটা সমর্থন করেছে।

জামায়াত যদি প্রার্থিতা প্রত্যহার না করে সে ক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থী কি নির্বাচনে লড়বেন- এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা আগেই বলেছি ৩ সিটিতে ২০ দল একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। এখানে আলাদা কোনো প্রার্থী থাকবে না।

নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, এটা নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক টানাপোড়েন হবে না। জামায়াত ২০ দলের একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার বিষয়ে আজকের বৈঠকে সম্মত হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে বৈঠকের বরাত দিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, আজকের বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির দৃঢ় অবস্থানের সঙ্গে একমত হয়েছে ২০ দল। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তার সুচিকিৎসার দাবি জানানো হয়েছে বৈঠক থেকে। এছাড়াও তার জামিন নিয়ে সরকার যে ছলচাতুরি করছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট।

গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০ দলীয় জোট গাজীপুর ও খুলনা সিটির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।

কোটা সংস্কার ইসুতে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকারের তামাশা ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ও গুমের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত জোট নেতারা। আন্দোলন চলাকালে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এইকসঙ্গে আমরা জোটের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানাই।

জাতিসংঘের মহাসচিবেরর সঙ্গে বিএনপির কোনো বৈঠক হয়নি উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব কর্নসান আছেন। এটা তারা নিজেরাই জানিয়েছেন। এখনও জাতীয় নির্বাচনের ৫ মাস সময় বাকি আছে।

এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের জরুরি বৈঠকটি শুরু হয় বিকাল ৪টায়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মহাসচিব এম.এম. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, খেলাফত মজলিশ মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টি (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, (অপরাংশ) মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বিএমএল সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগ মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী রেজাউল করিম, ইসলামিক পার্টির সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১৫৫ঘ.)