প্রতিহিংসাপরায়ণ মামলা

শপথ নেবার তিন মাস আগেই খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী!

শপথ নেবার তিন মাস আগেই খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী!

বিশেষ সংবাদদাতা, ২৭ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ): ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন সরকার ব্যবস্থা অনুযায়ী সরকার প্রধান হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া শপথ গ্রহণ করেন ১৯৯১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। অথচ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বলা হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রীর অরফানেজ ট্রাস্ট’ অ্যাকাউন্ট খোলা হয় ১৯৯১ সালের ৯ জুন।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবার তিন মাস আগেই কিভাবে বেগম খালেদা জিয়ার নামে এই অ্যাকাউন্ট খোলা হল?

১৯৯১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এর পূর্ব পর্যন্ত বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ ছিলেন সরকারের দায়িত্বে। তখন এ ধরনের হিসাব খোলা হলে তার নাম হতো ‘রাষ্ট্রপতি অরফানেজ ট্রাস্ট’ , প্রধানমন্ত্রীর নামে ট্রাস্ট করার কোনো সাংবিধানিক সুযোগও ছিলো না।

এরকম গোজামিল আর গাঁজাখোরী তথ্যে সাজানো একটি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি রায় দিতে যাচ্ছে নিন্ম আদালত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার শিকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সপ্তাহে পাঁচ বারেরও বেশী আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে বর্ষীয়ান এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। যেটি পৃথিবীর বিচার বিভাগের ইতিহাসে বিরল।

এ মাসের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২১ জানুয়ারী আদালতে টানা হাজিরা দিতে হয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে।

বেগম খালেদা জিয়া বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অথচ শেখ হাসিনা এক-এগারোর সময়ে তার বিরুদ্ধে করা সব রাষ্ট্রীয় মামলা পেশী আর ক্ষমতার জোরে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অথচ রাজনৈতিক একই উদ্দেশ্যে করা মঈন-ফখরুদ্দীনের বিএনপি চেয়াপারসনের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো জিইয়ে রেখেছেন। আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে তিনি বিরোধী নেত্রীকে দমন ও নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছেন।

শুধু তাই নয় বেগম খালেদা জিয়াকে চূড়ান্তভাবে হয়রানী, নাজেহাল ও অপদস্ত করার জন্য আরো ১৪ টি মিথ্যা মামলা বকশিবাজারের বিশেষ কোর্টে স্থানান্তর করা হয়েছে হাসিনার সরাসরি নির্দেশে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এর আগে এমন রোষানল কখনো দেখেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে ৩ জুলাই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আরও চার জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ছয়টি দুর্নীতি বা চাঁদাবাজির মামলা করা হয়৻ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কোনো মামলাই এখন আর তার বিরুদ্ধে নেই। আর জনপ্রিয়তাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। তার কন্ঠ স্তব্দ করতে উঠে পড়ে লেগেছে ভোটারবিহীন এই সরকার।

(জাস্ট নিউজ/জিওয়াই/১৫৫০ঘ)