অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রীকে হোয়াইট হাউসে উষ্ণ অভ্যর্থনা

“যুক্তরাষ্ট্রের কর সংকোচন নীতিতে অনুপ্রাণিত অস্ট্রেলিয়া”

“যুক্তরাষ্ট্রের কর সংকোচন নীতিতে অনুপ্রাণিত অস্ট্রেলিয়া”

হোয়াইট হাউস থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী, ২৩ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ): যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন কর সংকোচন বিষয়টির উচ্চসিত প্রশংসা করেছেন দেশটিতে সফররত অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপে অস্ট্রেলিয়া দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন টার্নবুল।

এর আগে টার্নবুল স্বস্ত্রীক হোয়াইট হাউসে এসে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট ট্রমাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি দৃঢ়তার সাথে জানান দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর সংকোচন প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রী বলেন “কংগ্রেসের সঙ্গে নিয়ে কর সংস্কারের যে নীতি আপনি গ্রহণ করেছেন, তার সফলতাল আমরা (অস্ট্রেলিয়া) অনুপ্রাণিত হয়েছি।”

তিনি আরো বলেন “কর ইস্যুতে আমরাও কিছু সংস্কার করেছি, যেমন কোম্পানির ক্ষেত্রে কর কমিয়েছি, তবে এ সংস্কার আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।”

সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়া ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। দেশটির ওপর বড় আকারের অভিযান চালানোর বিষয়টি পুর্নব্যক্ত করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট। পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার পদক্ষেপ হিসেবে বাজে এই দেশটির (উত্তর কোরিয়া) ওপর সবচাইতে কঠিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে ট্রাম্প প্রশাসন একমত বলেও জানান তিনি।

যদি উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপেও কোন কাজ না হয়, তাহলে কি করবেন অস্ট্রেলিয় এক সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, সামরিক অভিযানের বিষয়টি সামনে থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট বলেন “আমি কখনো এমনটা চিন্তা করি না যে এ হাতিয়ারটি (সামরিক অভিযান) আমি ব্যবহার করতে যাবো, কিন্তু আমাদের পুরো ইস্যুটি নজরদারিতে রাখতে হবে। যদি অবরোধ আরোপে কোনো কাজ না হয় তাহলে দ্বিতীয় ইস্যুটিই বিবেচনা করতে হবে।”

“দ্বিতীয় বিবেচনার বিষয়টি পরিণতির দিক থেকে খুবি বাজে হবে। আর এমনটা ঘটলে, সেটা হবে পুরো বিশ্বেও জন্য দুর্ভাগ্যজনক একটা কিছু।”

ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার কড়া সমালোচনা করে বলেন “জাতিটা (উত্তর কোরিয়া) খুবি দুর্বৃত্তপরায়ণ। আমরা যদি কোন চুক্তিতে পৌঁছতে পারি তবে সেটাই হবে বড় অর্জন। আর তা যদি না হয়, তাহলে বিকল্প হিসেবে একটা প্রতিকার তো করতেই হবে।”

ট্রাম্পের বক্তব্যের সময় উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন অবরোধ আরোপের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থনের কথা জানান টার্নবুল।

অস্ট্রেলিয়ার মেধাভিত্তিক অভিবাসন নীতির ভূয়সী প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে এ ধরণটি কাজে লাগাতে চান। এসময় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে তিনি বলেনন “আমার কংগ্রেসের বন্ধুরা কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন? আমরাও মেধাভিত্তিক অভিবাসন নীতি চালু করতে চাই।”

“আমার এ নীতি চালু করতে চাই, আপনাদের (অস্ট্রেলিয়া) অনুসরণ করেই আমরা এটা করতে যাচ্ছি।”

দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের কথা তোলে ধরে ট্রাম্প বলেন, অস্ট্রেলিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্বের ১০০ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। এই শতবছরের পথ চলায় বন্ধুত্ব, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, বাণিজ্য, অভিবাসন আর পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধে উত্তর কোরিয়াকে চাপ দিতে দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করেছে।

ট্রাম্প বলেন “এত ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব আর কোথাও মিলবে না।”

জবাবে অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বি-পাক্ষিক এই সাক্ষাত দুই দেশের শতবছরের বন্ধুত্বকে আরেক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্ব নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এ হৃদ্যতা অব্যাহত থাকবে।

(জাস্ট নিউজ/জিএস/১৩০০ঘ)