কফি আনানের মৃত্যুতে ব্রিফিং রুমে শোকের ছায়া

বাংলাদেশে দমন-পীড়ন বন্ধে জাতিসংঘের আহবান পুনর্ব্যক্ত

বাংলাদেশে দমন-পীড়ন বন্ধে জাতিসংঘের আহবান পুনর্ব্যক্ত

জাতিসংঘ থেকে বিশেষ সংবাদদাতা, ২০ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশে ছাত্র, সাংবাদিক ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীর প্রতি নির্বিচারে গ্রেফতার ও দমন-পীড়ন বন্ধের আহবান পুর্নব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।

সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে গত ৬ আগষ্ট দেয়া ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির বিবৃতির পক্ষেই সংস্থাটি অবস্থান পুর্নবহাল রেখেছে বলে জানান মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।

জাতিসংঘ সংবাদদাতা এবং জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্রিফিংয়ের শুরুতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের মৃত‌্যুতে গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করেন উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশ ইস্যুতে উঠে আসে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে সরকারের দমন-নিপীড়ন, গ্রেফতার, বিশ্বনন্দিত ফটোসাংবাদিক শহীদুল আলমের উপর নির্যাতন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এ ইস্যুতে প্রকাশ করা উদ্বেগসহ অন্যান্য বিষয়াবলি।

ব্রিফিংয়ে উক্ত প্রতিবেদক জানতে চান, "ইউএনসিএ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শুরুতে আমিও সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানের মৃত‌্যুতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।এটা আমাদের এক অপূরণীয় ক্ষতি।
আমি বাংলাদেশ ইস‌্যু নিয়ে কথা বলছি। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাম্প্রতিক সময়ে চলা আন্দোলনগুলোতে দমন-নিপীড়ন বন্ধ রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। বাংলাদেশে চলমান নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিষয়টিতে আপনি নিশ্চয় অবগত রয়েছেন। বাস্তবতা হলো সরকার ছাত্রদের গ্রেফতার করছে, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলমকে জেলে পুরে রাখার বিষয়টিও নিশ্চয় অবগত আছেন, তাঁর অপরাধ একটাই ছিলো- আর তা হলো বাংলাদেশে কি ঘটছে তা নিয়ে তিনি আল-জাজিরাকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন। সরকার যখন দেশটিতে গ্রেফতার, মামলা অব্যাহত রেখেছে এবং গুমের ঘটনাও ঘটছে- এপরিস্থিতিতে আপনার মূল্যায়ন কি?"

জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, "বাংলাদেশে এ সময়টাতে অনেক কিছুই ঘটছে, বিশেষ করে যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তাদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে জাতিংসঘের অবস্থান হলো-ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘ প্রধান বিবৃতিতে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন সেটিই আমাদের বক্তব্য। গত ৬ আগস্ট তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন সে বিবৃতির পক্ষেই আমাদের (জাতিসংঘের) অবস্থান বহাল রয়েছে।"

(জাস্ট নিউজ/জেআর/জিএস/২২৫০ঘ.)