ক্রোয়েশিয়ার দৌড় থামাতে চায় রাশিয়া

ক্রোয়েশিয়ার দৌড় থামাতে চায় রাশিয়া

ঢাকা, ৭ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : চেরিশেভের রাশিয়া আজ ইয়াশিনকে ছুঁতে চায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন জমানায় রাশিয়া শেষবার বিশ্বকাপের শেষ চারে উঠেছিল সেই ১৯৬৬-তে। তারপর আবার আকিনফেভ, জিরকোভদের সামনে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সুযোগ। ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে পারলেই রাশিয়ার ফুটবলের পুর্ণজন্ম হবে।

লুকা মদ্রিচ, ইভান রাকিতিচদের হারানো কঠিন কিন্তু তাও ইয়াশিনকে ছুঁতে পারেন ভেবে নিজেদের দলের হয়ে কোটি কোটি রুবলের বাজি ধরেছেন ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের লোকেরা। এখানকার ট্যাবলয়েডে ফলাও করে সেই খবর বেরিয়েছে। এখানে বেটিং চলে অদ্ভুত নিয়মে। সোচি বা পর্যটন এলাকায় বেটিং আইনসিদ্ধ। বাকি এলাকায় তা নিষিদ্ধ।

কাজানে গতকাল মাটির নিচের ঘর থেকে দশজন লোককে ধরা হয়েছে বেটিংয়ের জন্য, কিন্ত খেলা যেহেতু সোচিতে তাই সেখানে চলে যাচ্ছেন রাশিয়ানরা। বেটিংটা তাদের নেশা। আইস হকিতে, মোটর রেসিংয়েও চলে। অনেকে ঘর-বাড়ি বিক্রি করে বাজি ধরে।

নব্বইয়ের শুরুতে নতুন রাশিয়া তৈরির পর কখনও বিশ্বকাপের শেষ আটে ওঠেনি পুতিনের দেশ। কিন্তু নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে এবং সেখানে তারা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে, সেই মজাটা নিতে চাইছে সবাই। তবে লাগামছাড়া উচ্ছ্বাস নেই কোথাও। দেশের পতাকা রাস্তায় লাগানো বা গাড়িতে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতেও দেখলাম না কাউকে।

বিভিন্ন ফ্যান জোনে আরও কয়েকটি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হচ্ছে। স্পেন ম্যাচে মস্কোতে পঁচিশ হাজার জনের ফ্যান জোনে পঁচাত্তর হাজার লোক হাজির হয়েছিল।

সোচিতে গত বৃহস্পতিবার সাতশো লোক ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল রাশিয়ার হোটেলে। সেটাই বিরাট খবর হয়েছে এখানে।

কোচ চেরিশভ সাংবাদ সম্মেলনে বললেন, আমরা হৃদয় দিয়ে খেলব। স্পেনের বিরুদ্ধে যে রকম খেলেছিলাম সে রকমই। যা থেকে স্পষ্ট টাইব্রেকারে ম্যাচ নিয়ে গিয়ে ফের ভাগ্য পরীক্ষা করতে চান তিনি। নিজে গোলকিপার ছিলেন স্পার্টাক টিমের। ক্রোয়েশিয়া ম্যাচেও নিজের অধিনায়ক এবং গোলকিপার আকিনফেভের উপর সে জন্য তাঁর অগাধ আস্থা। রাশিয়া দলে গোলকিপার পজিশনটা মহার্ঘ।

হ্যারি কেনের আলোয় ইংল্যান্ড স্বপ্ন দেখছে ট্রফি জেতার। রাশিয়া খুঁজছে ভাগ্য। অঘটনের বিশ্বকাপে কোনও বিড়াল, কোনও অক্টোপাসের কথাই যে মিলছে না।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২২১৯ঘ.)