চট্টগ্রাম টেস্টেও লজ্জার হার, সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের

চট্টগ্রাম টেস্টেও লজ্জার হার, সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের

কাগজে কলমে এখনো সম্ভাবনা টিকে থাকলেও পঞ্চম দিনে আর কোনো আশা ছিল না জেনেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ছিল না সাগরিকায় সাকিবদের পাওয়ার কিছু। সব হারিয়ে আজ শুধুই আনুষ্ঠানিকতার জন্যেই মাঠে নামে টাইগাররা।

সেই আনুষ্ঠানিকতা সারতে সময় লাগলো ১৭ ওভার। স্কোরবোর্ডে নতুন করে রান উঠলো আরো ৫০। তবে তাতে কেবল কমলো পরাজয়ের ব্যবধান। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের হার ১৯২ রানে। সেই সাথে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও হাতছাড়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান তুলে তারা। তবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৭৮ রানেই। ফলোঅনের সুবিধা থাকলেও তা নেয়নি শ্রীলঙ্কা। বরং নিজেরাই নেমে যান ব্যাট করতে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। প্রথম ইনিংস থেকে ৩৫৩ রানের লিড থাকায় স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১ রান। ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে যা করে দেখাতে পারেনি কোনো দল।

চতুর্থ দিন শেষে ৬৭ ওভার ব্যাট করে ২৬৮ রান তুললেও উইকেট হারিয়েছিল ৭টি! তাতেই মোটামুটি নির্ধারণ হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। শেষ দিনে (বুধবার) বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪৩ রান, হাতে মোটে ৩ উইকেট। তবে শেষ পর্যন্ত আরো ৫০ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ, আটকে যায় ৩১৮ রানে।

সহজভাবে বলা যায়, চতুর্থ দিনেই জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ দিনে জয়ের জন্য পথ বেশ কঠিন ছিল। মাঠে ছিলেন না স্বীকৃত ব্যাটাদের কেউ। অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ আর তাইজুল ইসলাম ধরে রাখেন হাল। মিরাজ ৪৪ ও তাইজুল ব্যাট করতে নামেন ১০ রানে।

আগের দিনের সাথে ৪ রান যোগ করেই ফেরেন তাইজুল। তবে ফিফটি তুলে নেন মেহেদী মিরাজ। এগিয়ে চলছিলেন শতকের দিকেও। তবে যোগ্য সঙ্গের অভাবে তাকে অপরাজিত থাকতে হয় ১১০ বলে ৮১* রানে। ছয় ইনিংস পর সাদা পোশাকে ফিফটি পান তিনি।

শ্রীলঙ্কার হয়ে লাহিরু কুমারা ৪টি ও কামিন্দু মেন্ডিস নেন ৩ উইকেট।