ধর্মপাশায় ধানের বাম্পার ফলন, কাটার শ্রমিক সঙ্কট

ধর্মপাশায় ধানের বাম্পার ফলন, কাটার শ্রমিক সঙ্কট

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও এ ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে বোরো জমির পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। নোভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সারা দেশে লকডাউন জারি করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ। এর ফলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসতে না পারায় এই জঠিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

হাওর বেষ্টিত এক ফসলি ভাটি এলাকা বলে পরিচিত সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা। এ উপজেলার ৯৯ ভাগ মানুষ কৃষক। প্রতি বছর চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফরিদপুর, কুমিল্লা, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসে। তারা কৃষক মহাজনদের বাড়িতে এসে হাওরে কান্দার ওপর অস্থায়ী ঘর তৈরী করে ওই স্থানেই থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা করে প্রতি দিন ধান কাটলেও চলতি মৌসুমে এখনো পর্যন্ত ধান কাটার শ্রমিক না আসায় কৃষকরা তাদের জমিতে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ৩১ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৩১ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে উফশি ২৮ ও ২৯ জাতের ধান উৎপাদন করা হয়েছে। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটার শ্রমিকের কোনো সমস্যা নেই। যেসব এলাকা থেকে ধান কাটার শ্রমিকরা আসতো ওই সব এলাকার শ্রমিকদের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি।

ইতোমধ্যে পাবনা জেলার সাতিয়া উপজেলা থেকে শ্রমিরা এসে ধান কাটা শুরু করেছে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে ময়মনসিংহ, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও রংপুর থেকে শ্রমিকরা আসবে। আমরা তাদেরকে বলে দিয়েছি, প্রতিটি শ্রমিক নিরাপদে চলার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে প্রত্যায়ন পত্র দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক মো: সৈয়দ হোসেন বলেন, এ বছর প্রায় ৩০০ একর জমিতে উপশি ২৮ ও ২৯ জাতের ধান চাষাবাদ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। আরো এক সপ্তাহ আগেই কয়েকটি খেতের ধান পেকেছে। শ্রমিকের সংকট থাকায় পাঁকা ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। হয়তো আগামী ২-৪ দিনের মধ্যেই শ্রমিকরা আসতে পারে।

এমজে/