রাবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবকদের মধ্যে মারামারি, আহত ২

রাবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবকদের মধ্যে মারামারি, আহত ২

পূর্ব শত্রু তার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের দু’জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের মাথা ফেটে গেছে, অপরজনের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

রবিবার রাত ৮টার দিকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা গেটে ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় একজনকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। আটককৃতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রু তার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা গেটে বাঁধন নামের স্থানীয় এক যুবককে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন সারোয়ার বঙ্গবন্ধু হলের পাশের দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে বহিরাগত কয়েকজন যুবক ওই দোকানের সামনে আসে।

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন ইমতিয়াজের গলায় আচমকা ছুরিকাঘাত করে বাইকে চড়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় আরিফ ইশতিয়াক রোমেল নামে তাদের একজনকে আটক করে মারধর করে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এ সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষ ও আরএমপির মতিহার জোনের ডিসিসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের সামনেই আটককৃতকে মারধরের প্রস্তুতি নেন। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তেজনাকর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বয়ং ঘটনাস্থলে আসেন এবং রোমেলকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে হল থেকে বের করার মুহূর্তে আবারো ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তার ওপর চড়াও হন এবং তাকে উপুর্যপুরী মারধর করেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ডিসি সাজিদ হোসেন ও মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম, সহকারী প্রক্টর শিবলী ইসলাম, আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার শরীরে আঘাত পান। পরে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আটককৃতকে চিকিৎসার জন্য তৎক্ষণাত রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাইকে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে কাজলা গেটে বহিরাগতদের সঙ্গে আমাদের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি হয়। পরে তারা এসে আমাদের একজনকে ছুরিকাঘাত করে। আমরা একজনকে আটক করে পুলিশে খবর দিই। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আটককৃতকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ক্যাম্পাসের ভিতরে বহিরাগতদের এমন হামলার ঘটনায় নিরাপত্তার প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যপারে সচেতন। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচল থাকলেও সামনের দিনে এতোটা সহজ হবে না বলে জানান তিনি।

এমআই