ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : কান পাকা শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তবে শিশুদের কান পাকা নিয়ে অভিভাবকরা স্বভাবতই চিন্তিত হয়ে পড়েন।
কারণ :
* শিশুকে গোসল করানোর সময় অসতর্কভাবে কানে পানি ঢুকলে এ সমস্যা হতে পারে। তাই যে শিশুর এ সমস্যা হচ্ছে তাকে গোসল করানোর সময় কানে তুলা ভিজিয়ে গুঁজে রাখুন।
* শিশুকে খাওয়ানোর সময় চিৎ করে শুয়ে খাওয়ালে কান পাকতে পারে। শুধু তাই নয়, এতে শিশুদের ঘন ঘন শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ হয়। যেমন- সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি।
* টনসিল বা এডেনয়েডের সার্জারির পরও জটিলতা হিসেবে কান পাকতে পারে।
লক্ষণ :
* প্রধান লক্ষণ কানে ব্যথা বা ভারি অনুভব করা।
* পরবর্তী সময় কান থেকে পুঁজ বা অন্য কোনো তরল বের হয়ে আসতে পারে।
* ছোট শিশুরা ব্যথায় কান্না করতে পারে।
প্রতিকার ও প্রতিরোধ :
* কান পরিষ্কার করার জন্য কটন বাড, কাঠি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কান খোঁচাখুঁচি করা যাবে না।
* ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
দীর্ঘদিন এ রোগে ভুগতে থাকলে এবং চিকিৎসা না করালে শিশু বধির হয়ে যেতে পারে।
অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমিন, নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ইমপাল্স হাসপাতাল, তেজগাঁও, ঢাকা।
(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৩৫ঘ.)