শিশুর অ্যাজমায় যা জানবেন

শিশুর অ্যাজমায় যা জানবেন

শিশুরা অ্যাজমায় আক্রান্ত হলেও দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকতে চাইলে কিছু বিষয় জানা জরুরি।

প্রথমত : অধিকাংশ অভিভাবকের ধারণা শিশু বড় হলে বা সাঁতার কাটা শেখালে অ্যাজমা সেরে যাবে। এ কারণে তারা বাচ্চার চিকিৎসা করান না। ফলে অ্যাজমা ক্রমিক বা সারা জীবন ধরে ভুগতে হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর পারিবারিক ইতিহাস ও অন্যান্য লক্ষণ দেখে বলে দিতে পারেন এ রোগ সেরে যাবে কিনা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ বছর বয়সের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বাচ্চা একেবারে সেরে ওঠে। এক-তৃতীয়াংশ বাচ্চা আগের মতোই থাকে এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ বাচ্চা আগের তুলনায় বেশি অ্যাজমাতে ভোগে।

দ্বিতীয়ত : অনেক অভিভাবক বাচ্চাকে ইনহেলার ব্যবহার করতে দিতে চান না, অনেকে মনে করেন এটাই শেষ চিকিৎসা, আবার অনেকে মনে করেন একবার ইনহেলার ব্যবহার করলে সারা জীবন নিতে হয়।

ইনহেলার সরাসরি কাজ করে। ফলে কম ওষুধ লাগে ও অল্প সময়েই কাজ করে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম। শিশুদের প্রেসারের মাধ্যমে ইনহেলার নিতে হয়।

তৃতীয়ত : অ্যাজমা যেহেতু অ্যালার্জিজনিত তাই অ্যালার্জি দ্রব্যাদি পরিহার করলে সুফল পাওয়া যায়। ঘর, বালিশ, চাদর, তোষক যেন পরিচ্ছন্ন থাকে।

চতুর্থত : অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ডিসেনসিটাইজেশন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়।

 

এমজে/