তাইওয়ানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি মানবে না চীন

তাইওয়ানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি মানবে না চীন

তাইওয়ানে মার্কিন সেনাবাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে বলে এই দ্বীপের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যে ঘোষণা দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বেইজিং তাইওয়ানের সাথে আমেরিকার যেকোনো ধরনের সামরিক সম্পর্কের ঘোর বিরোধিতা করছে।

ওই মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, তাইওয়ান কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র নয়; কাজেই এটির সাথে আমেরিকার যেকোনো রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ বা সামরিক সম্পর্ক চীনের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।

এর এক দিন আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তাইওয়ানে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, তাইওয়ানের সেনা সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া কাজে এই দ্বীপে কিছু মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।

তিনি মার্কিন সেনাদের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ না করে বলেন, তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা আমেরিকার সাথে ব্যাপকভিত্তিক সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছি।

তাইওয়ান দ্বীপকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে ঘোষণা করেছে চীন। একইসঙ্গে তাইওয়ানের কাছে মার্কিন সমরাস্ত্র বিক্রি কিংবা তাইওয়ানের সঙ্গে আমেরিকার সামরিক সহযোগিতাকে নিজের স্বার্বভৌমত্ব ও ‘এক চীন’ নীতির লঙ্ঘন মনে করে বেইজিং।তবে আমেরিকা চীনের আপত্তি উপেক্ষা করে তাইওয়ান প্রণালিতে যুদ্ধাজাহাজ পাঠানোর পাশাপাশি তাইওয়ানকে প্রকাশ্যে সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে বেইজিংয়ের উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। সূত্র : পার্স টুডে

এমজে/