রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোনো দেশ ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে তাকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
‘আমাদের সব ধরণের উপকরণ আছে। দরকার হলে আমরা তা ব্যবহার করবো,’ বলেছেন পুতিন।
সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ান আইন প্রণেতাদের সাথে আলাপকালে বুধবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
পুতিন বলেন, ‘কেউ যদি বাইরে থেকে ইউক্রেনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে ও রাশিয়ার জন্য কৌশলগত হুমকি সৃষ্টি করে, তাহলে আমরা বিদ্যুৎ গতিতে জবাব দিবো।’
মনে করা হচ্ছে যে এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের কথাই বলেছেন।
তবে যুদ্ধে যেন রাশিয়াকে ইউক্রেন হারাতে পারে, সেজন্য ইউক্রেনের সহযোগী দেশগুলো অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।
গত সপ্তাহেই কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর রাশিয়া ডনবাস অঞ্চলে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে।
যদিও কর্মকর্তারা বলছেন ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধের কারণে রাশিয়ান বাহিনী কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।
ওদিকে রাশিয়া পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পর ইউরোপিয়ান কমিশন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ তুলেছে।
কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়া প্রমাণ করেছে যে সরবরাহকারী দেশ হিসেবে তারা নির্ভরযোগ্য নয়।
তবে ক্রেমলিন বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলোর অবন্ধুসুলভ আচরণের কারণেই রাশিয়া এটি করতে বাধ্য হয়েছে।
রুবলে অর্থ পরিশোধ না করায় রাশিয়ার সরকারি কোম্পানি গ্যাজপ্রম পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে এবং এরপর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রকে সতর্ক অবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন তিনি। সূত্র : বিবিসি