কর্মকর্তাদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার নির্দেশ পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধানের

কর্মকর্তাদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার নির্দেশ পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধানের

এক দিন আগেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সব কমান্ডার, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং আইএসআই’র সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার নীতি অনুসরণ করে দেশটির গোয়েন্দা প্রধানও একই নির্দশনা জারি করেছেন। নির্দেশনায় কঠোরভাবে বলা হয়েছে, উচ্চ থেকে নিম্ম পদস্থ কমান্ডার এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের সাথে জড়িত যেকোনো কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর জানিয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রধান ব্যক্তিগতভাবে তার অধীনস্থদের ওপর এই নির্দেশ জারি করেছেন।

সূত্রটি জানায়, ‘তাদের কঠোর ভাষায় রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।’

গোয়েন্দা প্রধান নির্দেশনায় আরো বলেছেন, ‘যে সব গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এই নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। তাদের এই অ্যাজেন্সিতে ঠাই হবে না।’

সম্প্রতি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই’র সামরিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

লাহোরে আইএসআই সেক্টর কমান্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে পিটিআই।

প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি এখন লাহোরেই নেই। পেশাগত কাজের জন্য দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তিনি ইসলামাবাদে আছেন।

পিটিআই নেতা এবং পাঞ্জাবের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. ইয়াসমিন রশিদ সম্প্রতি এই সেক্টর কমান্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এর আগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশি অভিযোগ করেছিলেন যে, কিছু অদৃশ্য শক্তি পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রদেশের উপ-নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সক্রিয় রয়েছে।

পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানও অভিযোগ করেছেন যে, তার কিছু প্রার্থীর কাছে অপরিচিত নম্বর থেকে টেলিফোন আসছে।

তিনি আরো বলেন, উপ-নির্বাচন চক্রান্ত করতে তার দলের নেতা-কর্মীদের চাপ দেয়া হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো জোর দিয়ে বলছে, নিরাপত্তা সংস্থাকে অপমান করার পরিবর্তে পিটিআই’র উচিত প্রমাণগুলো উপস্থাপন করা।

পাঞ্জাবের আসন্ন উপ-নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে দলই বেশি আসন জিতবে তারাই সরকার গঠন করবে। কারণ সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে যে, উপ-নির্বাচনের পরে ২২ জুলাই প্রাদেশিক বিধানসভা নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবে। কারণ পিটিআই দাবি করেছে যে, হামজা শেহবাজ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।