যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন। বেশির ভাগ মন্ত্রী ও রক্ষণশীল দলের আইনপ্রণেতাদের নজিরবিহীন চাপে এই সিদ্ধান্ত নেন কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত বরিস। তবে, নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এর আগে ৫০ জনের বেশি মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। আইন প্রণেতারা বলেন—তাঁর চলে যাওয়া উচিত এবং নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিৎ।

বরিস জনসন বলেন, ‘আজ আমি একটি মন্ত্রিপরিষদ নিয়োগ করেছি, যতক্ষণ না একজন নতুন নেতা না আসছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি দায়িত্ব পালন করব।’

কয়েকদিন ধরে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ের পর কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত জনসন তাঁর সমর্থন হারান। কয়েকজন সমর্থক বাদে অধিকাংশরাই তাঁকে ছেড়ে যান।

‘তাঁর পদত্যাগ অনিবার্য ছিল’ উল্লেখ করে কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাস্টিন টমলিনসন এক টুইটে বলেছেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের অবশ্যই দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এটি অনেক দিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ সময়।’

কনজারভেটিভদের এখন নতুন নেতা নির্বাচন করতে হবে। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই নেতা নির্বাচন হবে, যা সপ্তাহ বা মাস সময় লেগে যেতে পারে।