রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে আক্রান্ত কিয়েভের জার্মান দূতাবাস

রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে আক্রান্ত কিয়েভের জার্মান দূতাবাস

রাশিয়ার দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নতুন করে বিধ্বস্ত হচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য শহর। কেবল সোমবারই অন্তত ৮৩টি মিসাইল ছুড়েছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের জার্মান দূতাবাসসহ এতে বহু অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কিয়েভের এক জেলাতেই ১১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রুশ-ক্রিমিয়া সংযোগ সেতুতে বিস্ফোরণের প্রতিশোধ নিতে নতুন এই হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অপরদিকে সমুচিত জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সোমবার সকাল থেকে শুরু করা এ হামলায় ধ্বংস হয়েছে বহু অবকাঠামো। হতাহত হয়েছেন অনেক বেসামরিক নাগরিক। আহতদের আর্তনাতে ভারি হচ্ছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। হামলা হয়েছে কূটনৈতিক অঞ্চলগুলোতেও। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে আক্রান্ত কিয়েভের জার্মান দূতাবাসও। এছাড়াও সামরিক স্থাপনায়ও ছোড়া হচ্ছে মিসাইল।

হামলা শুরুর পর এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রিমিয়ার সেতুতে হামলার জবাবেই ইউক্রেনের সামরিক এবং যোগাযোগ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হচ্ছে। এ হামলার পরিধি আরও বাড়ানো হবে। আমাদের বিভিন্ন স্থাপনার ওপর ইউক্রেন একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা তারই জবাব। ইউক্রেন যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে তাহলে কারও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া আরও কঠোর হবে।

অপরদিকে, নতুন করে রাশিয়ার হামলা শুরুর পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হুঙ্কার দিয়েছেন পাল্টা হামলারও।

হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করছি। ডজন ডজন মিসাইল ছোড়া হচ্ছে। রাশিয়ার দুটি টার্গেট। তারা আমাদের জ্বালানি সিস্টেম এবং অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করতে চাইছে। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না, ইউক্রেনীয়রা কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না।

কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনে হামলার মাত্রা খানিকটা কমিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু গেল শনিবার ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণের পরই প্রতিশোধের হুঙ্কার দেয় মস্কো।