কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে লন্ডনে ছাত্র শিক্ষক সমাবেশ

যৌক্তিক দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান

যৌক্তিক দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান

লন্ডন, ১২ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশে চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে ল্ন্ডনে ছাত্র ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে ভীতি প্রলোভন এবং আন্দোলনকে বানচাল করার সকল চাতুরীর মুখে সংস্কারের যৌক্তিক দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।

বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের এলএসসিআই স্টুডেন্টস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. হাসনাত হোসাইন এমবিই।

সমাবেশে বক্তাগণ কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও চাতুর্যপূর্ণ ও দায়িত্বহীন আখ্যায়িত করে বলেন- বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারে গণদাবীতে উত্তাল দেশময় সৃষ্ট ছাত্র আন্দোলনের সেন্টিমেন্টকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যেই তিনি কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন। এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি'র বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরেরও নিন্দা জানান হয়।

প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. কে এম এ মালেক। সভা সঞ্চলানা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য ও ছাত্র নেতা নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ।

বৃটেনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহবায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল কাদির সালেহ সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং ভীতি প্রলোভন এবং আন্দোলনকে বানচাল করার সকল চাতুরীর মুখে সংস্কারের যৌক্তিক দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কে এম এ মালেক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না হলে বাংলাদেশ হতো না। দেশের ভবিষ্যত মেধাবীদের অধিকার রক্ষার যে আন্দোলন চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি ভিসি'র বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের নিন্দা জানান।

সভাপতির বক্তব্যে ড. হাসনাত হোসাইন বলেন, কোটা সংস্কারের দাবী হলো মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণের দাবী। চলমান কোটা প্রথা বাতিল না করে এটিকে মুক্তিযাদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও নৃ জাতিগোষ্ঠীর জন্য যৌক্তিক সংখ্যায় সংস্কার করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ দেশের আপামর ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনে আপোষহীণতা ও দুর্জয় সাহসিকতার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মনে রাখবেন গোটা বাংলাদেশ আজ আপনাদের পেছনে ঐক্যবদ্ধ।

অন্যান্য বক্তাগণ সংসদে দেয়া মতিয়া চৌধুরী দেশের মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে দেয়া বক্তব্যের নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবী করেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ড. আব্দুল মান্নান, বুয়েট এর সাবেক ভিপি ব্যারিস্টার তারিক বিন আজিজ, ব্যারিস্টার আফজাল জামী, মেজর আবু বকর সিদ্দিক, দেওয়ান মুকাদ্দিম চৌধুরী নিয়াজ, ব্যারিস্টার ওবায়দুল হক টিপু, ড. আহযাবুল হক, আব্দুল করীম ওবায়েদ, আনিসুর রহমান, জুবায়ের বাবু, আতাউল্লাহ ফারুক, মিসবাহুল ইসলাম বাবু, ড. জালাল আহমদ।

এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়র সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জুবায়েরুল ইসলাম, সদরুল আমিন ফয়সাল, মাওলানা শামিম আহমদ, বাকী বিল্লাহ, পারভেজ আহমদ রাকিব, ইফতেখার হাসানুজ্জামান, মাসুম বিল্লাহ, মোহাম্মদ লায়েক প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/প্রতিনিধি/একে/০০৩৮ঘ.)