সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ক্র্যাবের

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ক্র্যাবের

গণমাধ্যম কর্মীদের আতঙ্কে রাখতেই মানবজমিনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, বহিস্কৃত যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার অপকর্ম নিয়ে মানবজমিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোন সংসদ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবুও এমপি আসাদুজ্জামান শিখর বাদী হয়ে শেরেবাংলানগর থানায় ডিজিজাল নিরাপত্তা আইনে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও প্রতিবেদক মো. আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এতে শিখর নিজেই প্রমাণ করছেন যে, এই অপকর্মে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। নতুবা যে সংবাদে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি সেই সংবাদে তিনি ক্ষুব্ধ হবেন কেন? বিষয়টি ‘ঠাকুর ঘরে কেরে, আমি কলা খাই না’ এরকম হয়ে গেছে।

বক্তারা বলেন, একইভাবে বিতর্কিত এই আইনটি ব্যবহার করে ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন এক ব্যক্তি। এছাড়াও এমপি শিখরের মামলার আসামি আলোচিত্রি শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ রয়েছেন।

কুড়িগ্রামে আরেক সাংবাদিককে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে মিথ্যা অভিযোগে সাজা দেয়া হয়েছে। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে দেশের কোথাও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না হলে, নিখোঁজ সাংবাদিক কাজলের সন্ধান না পেলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এসব মামলা প্রত্যাহার করে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাংবাদিক।

ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাবলু ও সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়ের। ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক, ক্র্যাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক আল হাদী, ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ডিইউজের সাবেক জনকল্যাণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ক্র্যাবের নির্বাহী সদস্য রুদ্র মিজান, সারা বাংলাডটনেটের সিনিয়র করোসপন্ডেন্ট উজ্জল জিসান প্রমুখ।