কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ ৪ জন নিহত

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ ৪ জন নিহত

কিশোরগঞ্জে পৃথক ঘটনায় বজ্রপাতে শিশুসহ চারজন নিহত হওয়া ছাড়াও একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিঠামইনে হাওর থেকে গরু আনতে গিয়ে গরুসহ সুমন মিয়া (৭) নামে এক শিশু ও ধান কাটতে গিয়ে মহিউদ্দিন (২২) নামে এক যুবক, ইটনায় হাওর থেকে বাড়ি ফিরতে গিয়ে রুবেল দাস (২৬) নামে এক যুবক এবং পাকুন্দিয়ায় বাড়ির সামনের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে আসাদ মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।

মিঠামইন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন মো. মতিউর রহমান জানান, মিঠামইনে বজ্রপাতে নিহত দুইজনের মধ্যে সুমন মিয়া উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে এবং মহিউদ্দিন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টিপাতের মধ্যে হাওর থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সুমন মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় শিশুটির আনতে যাওয়া ষাঁড়বাছুরটিও বজ্রাঘাতে মারা যায়। একই সময়ে হাওরের জমিতে বোরো ধান কাটার কাজ করতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মহিউদ্দিনের মৃত্যু হয়।

ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বিপিএম জানান, ইটনায় বজ্রপাতে নিহত রুবেল দাস উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে হাওরের জমিতে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রাঘাতে রুবেল দাস গুরুতর আহত হয়।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, পাকুন্দিয়ায় নিহত আসাদ মিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের মৃত আয়েছ আলীর ছেলে। শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এমআই