কাওরানবাজারে স্থাপিত হচ্ছে পুলিশের নতুন ফাঁড়ি

কাওরানবাজারে স্থাপিত হচ্ছে পুলিশের নতুন ফাঁড়ি

ঢাকার বহুল পরিচিত কাওরানবাজারে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশের নতুন ফাঁড়ি স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে একটি চিঠি প্রদান করেছে। কাওরানবাজারের মাছ পট্রির পাশে খুব দ্রুত এই ফাঁড়ির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হবে।

ডিএমপির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ওই ফাঁড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। পুলিশ বলছে, এই ফাঁড়ি স্থাপিত হলে কাওরানবাজারে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য, রেললাইনে মাদক ব্যবসা রোধ করা ও মূল সড়কে ছিঁচকে চোরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে। পুলিশ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে তেজগাঁও জোনের পুলিশের ডিসি মো: আনিসুর রহমান শুক্রবার জানান, কাওরানবাজার এলাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ জোন। এই এলাকায় দুইটি জেলার লোকজন জোর করে নিরীহ লোকজনের কাছে চাঁদা আদায় করে থাকে। আমরা বিষয়টি নজরে এনেছি। চাঁদাবাজিরোধসহ অন্যান্য অপরাধ রোধ করার জন্য পুলিশ কাওরানবাজারে একটি ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, কাওরানবাজার বর্তমানে ক্রাইম জোন বলে পরিচিত পেয়েছে। ১০ বছর আগে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির টাকা ভাগভাটোয়া কেন্দ্র করে খুনাখুনী লেগেই থাকতো। আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্বৃত্তদের গ্রুপে গ্রুপে খুনাখুনী বন্ধ হলেও চাঁদাবাজি, রেললাইনে মাদক ব্যবস্থা ও ছিঁচকে চোরের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাজারকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক মাসে ৪ কোটি টাকার চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। সেখানে এখনও চলছে এক সময়ের দাপুটে শীর্ষ সস্ত্রাসীদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়। ওই টাকা চলে যাচ্ছে প্রভাবশালী থেকে শুরু করে এমনকি আইন-শৃংখলা বাহিনীর পকেটে।

বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই চক্রের লাগাম অবিলম্বে টেনে না ধরলে আবারও অশান্ত হয়ে উঠবে কাওরানবাজার। তখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া খুবই জটিল হয়ে দাঁড়াবে।

এমআই