নির্বাচন ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

নির্বাচন ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

নির্বাচন ভবনরাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৬ মিনিটে ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সূত্রপাত হয়ে বেজমেন্ট ওয়ান এবং টু’তে এ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট একযোগে কাজ করে রাত ১২টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার কামরুল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাতেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মাহবুব তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘আগুনের উৎস সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। তদন্ত করলে বোঝা যাবে কীভাবে আগুন লেগেছিল এবং কী কী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিতে ফায়ার, এনআইডি বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী থাকবেন। তারা তিনটি বিষয় খতিয়ে দেখবে।

আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং ভবিষ্যতে যাতে আগুন না লাগে সে বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করবে। তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার সেফটি কেন কাজ করেনি তাও প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে।’

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বেসমেন্ট
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে ইভিএম এবং ইভিএম সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি রাখা ছিল। কীভাবে আগুন লেগেছে এবং কী কী পুড়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস থেকেও তদন্ত কমিটি করা হবে। তারাও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখবে।’

নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, ‘এই আগুনের কারণে রংপুরের উপনির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ইভিএম মেশিন রয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘বেজমেন্টটি ইভিএম মেশিন রাখার গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখানে অনেক কার্টুন ছিল। কার্টুনে আগুন লাগার কারণে অনেক ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আমাদের মোহাম্মদপুর, মিরপুর, সিদ্দিক বাজার ও তেজগাঁও ফায়ার স্টেশন থেকে ১২টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি করেছি। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবে। তদন্তের পর কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।’

এমআই