যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ রিমান্ডে

যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ রিমান্ডে

অস্ত্র মামলায় ৪ দিন এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার ও শাহিনুর রহমান এই আদেশ দেন। এর আগে, মাদক মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।

এর আগে, আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাহমুদুল হক ও সুব্রত দাস। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

উভয় মামলার রিমান্ড পর্যায়ক্রমে কার্যকর করা হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, এদিন রাত ৮টা ২৫ মিনিটে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার ওসি (ওপারেশন) আমিনুল ইসলাম। এরপর রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। এ সময় প্রতিটি মামলায় আসামির সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে ‘ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর গুলশানের নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান ও ৫৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরপর দিন (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তাকে গুলশান থানায় নেয় র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে একই থানায় অস্ত্র, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করেন র‌্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা।