ভুয়া বিল করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার টাকা লুট

ভুয়া বিল করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার টাকা লুট

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে এর প্রমাণও পেয়েছে জেলা সিভিল সার্জনের গঠিত তিন সদস্যের কমিটি। এরপরও বহাল তবিয়তে আছেন ঐ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য মিলেছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও।

ছিমছাম গোছানো নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রায় ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে গঠিত এই হাসপাতাল ঘিরে রয়েছে নানা দুর্নীতির অভিযোগ।

নেপথ্যে উঠে এসেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খায়রুল ইসলামের নাম। অনুসন্ধান বলছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন খায়রুল ইসলাম। চলতি বছরের মাঝামাঝি প্রকাশ পায় ভুয়া বিল ভাওচার দিয়ে ৭ লাখের বেশি টাকা আত্মসাতের ঘটনা।

হিসাব বলছে, হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, আসবাবপত্র ক্রয়, ডেঙ্গুকিট ও ওষুধ ক্রয়, হাসপাতালের ডিসপেনসারির জন্য ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ভূয়া বিল ভাওচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ।

একই সাথে হাসপাতালের ব্যবহার্য জিনিস ও কর্মচারীদেরকে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসী জানান, বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম, দুনীর্তির খবর পাচ্ছি আমরা। এখানে ঠিকমতো টিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার খায়রুল স্যারের ব্যক্তিগত ব্যবহারে চলে।

অভিযোগগুলোকে ষড়যন্ত্র দাবি করা হলেও, জেলা সিভিল সার্জন গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বিষয়গুলোর সত্যতা পেয়েছে।

নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, কর্মচারীদের উপর পুরোপুরি নির্ভর ছিলাম। তাদের বলতাম, আপনারা যেভাবে হয় সেভাবে করেন। মাঝে মাঝে আমি আমার সিনিয়রদের ফোন করেছি যারা আগে থেকে এখানে ছিল। তারা বলছে ওনারা যেটা বলছে ওটাই নিয়ম।

ঘোড়াঘাট উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (তদন্ত কমিটির প্রধান) ডা. মো. নুর নেওয়াজ বলেন, আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স পরিদর্শনকালে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপারার ওষুধ ক্রয় এবং এমএসআর ক্রয়ে আমরা অনিয়ম দেখতে পেয়েছি।

প্রতিদিন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ৩০০ রোগী তাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।

এমজে/