থার্টিফার্স্ট নাইটে হাসপাতাল চত্বরে কনসার্ট-আতশবাজি, রোগীদের দুর্ভোগ

থার্টিফার্স্ট নাইটে হাসপাতাল চত্বরে কনসার্ট-আতশবাজি, রোগীদের দুর্ভোগ

ইংরেজি বর্ষবরণের রাতে (থার্টিফার্স্ট নাইটে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ও পিঠা উৎসবের নামে উচ্চস্বরে গান পরিবেশ ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়। এতে হাসপাতালের রোগীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেখানে হাসপাতালের সামনে মাইক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ, সেখানে ভাড়ায় শিল্পী এনে হাসপাতালের কম্পাউন্ডে উচ্চস্বরে কনসার্ট এর আয়োজন করা নিয়ে শহরে বিশিষ্টজনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য এই ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি। আর হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় কয়েকজন কণ্ঠ শিল্পীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের পর পরই শুরু হয় সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে গান পরিবেশন। এই আয়োজনে গান বাজনা করতে স্টেজ বানানো হয় বহিঃবিভাগের গেটের সিঁড়িকে। এছাড়াও হাসপাতাল কম্পাউন্ডে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও জেলা স্বাচিপের সভাপতি ডা. আবু সাঈদ ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, চিকিৎসকরাও মানুষ। তাদেরও রিফ্রেশমেন্টের দরকার আছে। তাই অনুষ্ঠানে সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু আমি জানতাম না এই রকম করে গানের আয়োজন করা হয়েছিল।

এমজে/