করোনাক্রান্ত নার্স: আমি কি না খেয়ে মারা যাবো?

করোনাক্রান্ত নার্স: আমি কি না খেয়ে মারা যাবো?

খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে (করোনা হাসপাতাল) ভর্তি খুমেকের এর সিনিয়র স্টাফ নার্স শিলা রানী দাসের বাড়িতে খাবার দিতে দিচ্ছেন না কাউন্সিলর মো. হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা। এমনকি তার বাড়িতে অবস্থান করা একমাত্র মেয়ের ফোনও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। ৩০ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে নার্স শিলা রানী দাস নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ পোস্ট দিয়েছেন:

আমি শিলা রানী দাস, নার্সিং সুপারভাইজার পদে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছি। আমি স্বাধীনতা নার্স পরিষদ এর খুলনার বিভাগীয় প্রেসিডেন্ট। গত ৪ এপ্রিল থেকে করোনা হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলাম। গত ২৮ এপ্রিল আমার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

এখন আমি ক’রোনা হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমার জন্য সকলে একটু আশীর্বাদ করবেন, আমি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আপনাদের সবার মাঝে ফিরে আসতে পারি।

তবে খুব ক’ষ্ট লাগছে আমাদের এলাকার কমিশনারসহ কিছু লোকের কর্মকাণ্ড শুনে। আমি যখন করোনা হাসপাতালে ভর্তি হই তখন তারা আমার বাসার কাজের লোকের বাসা লকডাউন করছে, ঠিক আছে! কিন্তু আমি একজন নিরামীষভোজী, আমার বাড়ির মানুষজন বলেছে আমার খাবারের ব্যবস্থা করতে, আমি নিজেও বলেছি। কিন্তু তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছে!

আমার সমাজের কাছে প্রশ্ন আমি রো’গীদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি এখানে আমার অপরাধটা কোথায়? আমি কি কোনো অপরাধী যে আমাকে খাবারটা পর্যন্ত দেয়া যাবে না! আমি কি না খেয়ে মারা যাব, এ কেমন বিচার? কারা এদেরকে এলাকার মানুষের দেখা শোনার ভার দিয়েছে?

শীলা রানীর বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবীর পিপিএম বার জানান, আমি এ বিষয়ে এখনই নিচ্ছি। তবে এ বিষয়ে আমাকে আগে কেউ কিছু জানায়নি।

এমজে/