কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাকে নিয়ে বিএমএ ও স্বাচিপের আপত্তি

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাকে নিয়ে বিএমএ ও স্বাচিপের আপত্তি

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক পদে একজন চিকিৎসক কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে মাস্ককাণ্ডসহ নানা কারণে আলোচনায় থাকা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক পদে শুক্রবার পরিবর্তন এনেছে সরকার।

বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) আবু হেনা মোরশেদ জামানকে প্রেষণে সিএমএসডি’র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আর সিএমএসডির পরিচালকের দায়িত্ব চালিয়ে আসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহকে সেনাবাহিনীতে ফেরাতে তার চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

ওই আদেশ প্রত্যাহার করে সিএমএসডির পরিচালক পদে আগের মতই একজন চিকিৎসক কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে পেশাজীবী চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিএমএ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপ।

বিএমএর প্যাডে ‘বিয়ষটি অতীব জরুরী’ লেখা ওই চিঠিতে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী এবং স্বাচিপ সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব ডা. এম এ আজিজের স্বাক্ষর রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসন ক্যাডারের একজন অতিরিক্ত সচিবকে সিএমএসডির পরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগ করার বিষয়টি ‘অত্যন্ত উদ্বেগের’।

এই উদ্বেগের কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যাবতীয় চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন। আমাদের জানা মতে আজ পর্যন্ত উক্ত পদে চিকিৎসক কর্মকর্তা ব্যতিত কখনোই কাউকে পদায়িত করা হয়নি। নিকট অতীতে উক্ত পদে সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক কর্মকর্তারাই ধারাবাহিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে এই পদে নিয়োগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং ইহা একটি অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করছে।’

বিএমএ মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার নিয়োগ তারা মানবেন না।

‘এখানে চিকিৎসকদের পদায়ন করতে হবে। আপনি কি কাল চাইলেই কোনো ডাক্তারকে অ্যাডমিন ক্যাডারের পদে বসাতে পারবেন? আমাদের দাবি সাধারণ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো পদে তো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আসার কথা না। এটা স্বাস্থ্য ক্যাডারের পদ।’

তিনি বলেন, ঈদের পর চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠক করবেন এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ‘আমরা এটা মানি না। এটা হতেই পারে না। আমরা ঈদের পর প্রয়োজনে আল্টিমেটাম দেব।’