প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে বহুল আলোচিত রেমডেসিভিরসহ অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের চূড়ান্ত ব্যবহার না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এ সংস্থাটি। গত বুধবার করোনা গাইডলাইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে প্লাজমা থেরাপিও নিষিদ্ধ করল ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটির প্রকাশিত করোনা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, তাদের আগের গাইডলাইনে পরিবর্তন আনা হয়নি। পূর্ববর্তী এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানসম্মত গাইডলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করে এগুলো তৈরি করা হয়েছে।

রেমডেসিভির এবং অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যাপারে ডব্লিউএইচও বলেছে, কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং পর্যবেক্ষণে করোনার চিকিৎসায় এসব ওষুধের কোনোটিরই উচ্চমানের ইতিবাচক ফল পাওয়ার প্রমাণ মেলেনি।

এমনকি এসব ওষুধের জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও পাওয়া গেছে। এর আগে সংস্থাটি করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রেমডেসিভির ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়ার আগেই বাংলাদেশের বেশ কিছু কোম্পানি ওষুধটির উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক ট্রায়ালে সফলতা আসায় প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়লেও এর কোনো প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প চলমান রয়েছে।

এমজে/