পোস্ট মাস্টারকে গুলি করে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাই

যুবলীগ নেতার শ্বশুর বাড়ি থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার

যুবলীগ নেতার শ্বশুর বাড়ি থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পোস্ট মাস্টারকে গুলি করে ছিনতাইকৃত ৫০ লাখ টাকার মধ্যে আরও সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম সজীবের শ্বশুর বাড়ি থেকে গত বুধবার এ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত ২১ মে দুই লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বিকেলে কালিহাতী উপজেলার গান্ধিনা গ্রাম থেকে সজীবের শ্বশুর ইমান আলী ও শ্যালক ইমরান নাজিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইমান আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গোয়াল ঘরে বস্তায় রাখা সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

ইমান আলী ও ইমরান নাজির গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা জানান, ঘটনার পর সজীব তাদের বাড়িতে ৩০ লাখ টাকা রেখে যান। পরে দুই দফায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা নিয়ে যান।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রূপম কুমার দাস জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত জানান, এই দুই জনসহ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মে কালিহাতী পোস্ট অফিস থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে বল্লা পোস্ট অফিসে যাওয়ার পথে পোস্ট মাস্টারকে গুলি করে উক্ত টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২১ মে টাঙ্গাইল শহরের একটি বাড়ি থেকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তামজিদুল ইসলাম জিসানকে ছিনতাইকৃত দুই লাখ টাকা ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন আদালতে তামজিদুলের দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, কালিহাতী উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজীবের নেতৃত্বে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, সজীবসহ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং লুণ্ঠিত বাকি টাকা উদ্ধারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।