করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে নয়: ওলামা লীগ

করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে নয়: ওলামা লীগ মানববন্ধনে ওলামা লীগের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

নভেল করোনাভাইরাসকে ছোঁয়াচে ও মহামারি নয় বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক সংগঠন ওলামা লীগের নেতারা। এ ছাড়া দলটির নেতারা বলেন, ‘সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে মসিজদে সীমিত পরিসরে জামাত একটি কুফুরি মতবাদ।’

সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে নেতারা এ ধরনের বক্তব্য দেন।

ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন করোনাভাইরাসকে মহামারি বলেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ মহামারি হয় একটি নির্দিষ্ট এলাকায়, আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে সারা বিশ্বে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অপরদিকে ইসলামে দৃষ্টিতে মহামারি তাকেই বলে যেখানে ঘণ্টায় কমপক্ষে ২০ হাজার লোক মারা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিন করোনাভাইরাসের নামে ৩০-৩৫ জনের মৃত্যু কখনই প্রমাণ করে না করোনাভাইরাস মহামারি তৈরি করেছে।’

করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে নয় দাবি করে ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফতোয়াকে রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করে কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ দিয়ে প্রকাশ্যে বাহাসের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ওলামা লীগও বাহাসে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।’

মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জামাতের বিরোধিতা করে আবুল হাসান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করা, ফাঁক ফাঁক করে নামাজে দাঁড়ানো, পাঁচ জনের বেশি মুসল্লি না হওয়া, মাঠে ঈদের জামাত করতে না দেওয়া ওহাবি, জামাতপন্থীদের ষড়যন্ত্রমূলক ফতোয়া, যা সম্পূর্ণ কুফরি হয়েছে।’

মানববন্ধনে ওলামা লীগের সভাপতি মো. আক্তার হোসেন বুখারী বলেন, ‘কোরবানির ঈদে করোনাভাইরাসের মিথ্যা প্রচারণা শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে। কুরবানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, গরিবের হক যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। মূলত করোনাভাইরাস হল গজব, এই গজব থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার বেশি বেশি পবিত্র মিলাদ শরীফ পড়তে হবে এবং পবিত্র সুন্নতি খাবার খেতে হবে।’

লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আক্তার হোসেন বুখারি বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের সুরে সুর মিলিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক দুর্নীতিবাজ নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান জামাতি, ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা এসব ফতোয়া দিয়েছে। সরকারকে লকডাউন করতে বাধ্য করেছে, অথচ খোদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিজি শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদ উল্লেখ্য আছে, সংক্রমণ রোগ বলতে কোনো কিছু নেই, সংক্রমণ বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কুফরি ও শিরকি।’