জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে যা বললেন ডা. সাবরিনা

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে যা বললেন ডা. সাবরিনা

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়া জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা আরিফকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রবিবার ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘জেকেজির এমডি আরিফুল হক চৌধুরীকে যখন আমরা গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসা করলাম জেকেজির এমডি, সিও আপনি তাহলে আপনার চেয়ারম্যান কে? তখন তিনিসহ গ্রেপ্তার সকলেই বলেছেন চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা। তাদের এমন বক্তব্যের পর আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছিলাম। সাবরিনাকে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিলাম। তাকে যখন জিজ্ঞাসা করলাম আপনি চেয়ারম্যান কি না, তিনি তখন বললেন না আমি চেয়ারম্যান না।’

পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সাবরিনাকে যখন জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি তিতুমীর কলেজের ঘটনায় জেকেজির পক্ষে চেয়ারম্যান হিসেবে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বললেন তার স্বামী তাকে এসব বলতে বলেছে। এ ছাড়াও অনেক প্রশ্নের তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আগামীকাল সাবরিনাকে আদালতে রিমান্ডে চাইব। রিমান্ডে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যদি আরও কারও সম্পৃক্ততা পাই তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ গ্রেপ্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তদন্তে জেকেজির প্রতারণার সঙ্গে ডা. সাবরিনা আরিফের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই মামলায় সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জেকেজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিতো।