বাহুবলে বাস-জিপ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫

বাহুবলে বাস-জিপ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় বাস-জিপ মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার রাত ১০টার দিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে তাদের মৃত্যু হয়।

এর আগে বেলা ২টার দিকে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে বাহুবলস্থ রশিদপুর ৫নং গ্যাসফিল্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- সাতগাঁও চা বাগানের কামারপাড়ার মৃত সনোহা কর্মকারের ছেলে জিপচালক সঞ্জিব কর্মকার (৩৮), বাহুবল উপজেলার ফয়েজাবাদ চা বাগানের নতুন কোয়ার্টারের বাদল রাজঘরের ছেলে মহেষ রাজঘর (৩৫), একই এলাকার অলি উরাংয়ের স্ত্রী অঞ্জলী উরাং (৭০), প্রদীপ (২৫) ও এক শিশু।

জানা যায়, শ্রীমঙ্গল থেকে হবিগঞ্জগামী বাস (নং-ঢাকা মেট্রো-ব-১১-০৯০২) বেলা ২টার দিকে লছনা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বাহুবল থেকে সাতগাঁওগামী লেবু পেঁপেসহ চা শ্রমিকদের বহনকারী জিপের (নং-সিলেট ক-৫০৮৪) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে।

এতে ঘটনাস্থলে জিপচালক সঞ্জিব কর্মকার ও মহেষ রাজঘর এবং রাতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে অঞ্জলী উরাং এবং সিলেট মেডিকেলে প্রদীপ ও এক শিশু মারা যায়।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ফয়জাবাদ এলাকার আমেনা বেগম (৫০), শিশু তমা (৭), রীমা (৮), তামিম (১২), রুহেনা আক্তার (৪), কুলসুমা আক্তার (৪৫)। তাদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর সাতগাঁও চা শ্রমিকরা লছনা এলাকায় মহাসড়কে ব্যারিকেড দেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় রাস্তার উভয়পাশে দূরপাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। তবে হবিগঞ্জ-সিলেট, হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকে।

সাতগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন শীল বলেন, দুর্ঘটনার পর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। পরে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে। তবে আজ সোমবারের মধ্যে বিচার না পেলে চা শ্রমিকরা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন।

হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্ক শুভ্র রায় বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও আহতদের চিকিৎসা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।

এমজে/