ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এতে বলা হয়েছে, কাজলের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে অর্থ আদায় করা। প্রায় এক বছরের দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ১৪ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা তিনটি মামলার মধ্যে এটি ছিল কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলার অভিযোগপত্র। এর আগে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি হাজারীবাগ থানায় করা মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ ও শেরেবাংলা নগর থানায় করা তিনটি মামলার প্রত্যেকটিই ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা দায়ের করেছেন।
২০২০ সালের ১০ মার্চ নিখোঁজ হওয়ার ৫৩ দিন পর ৩ মে বেনাপোল সীমান্তের কাছাকাছি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাজলকে খুঁজে পায়। এরপর অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও যুব মহিলা লীগের দুই নেতাকর্মী তার বিরুদ্ধে করা মামলায় কারাগারে ছিলেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে সাত মাস তার জামিন হয়নি।
২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট তাকে একটি মামলায় জামিন দেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাইবার ট্রাইব্যুনালকে অন্য দুটি মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অবশেষে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট অন্য দুটি মামলায় কাজলের জামিন মঞ্জুর করেন। কাজলের আইনজীবী সেসময় উল্লেখ করেছিলেন, মামলা দায়েরের ৭৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা থাকলেও তদন্তকারীরা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর কাজলকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।