ছয় মাস জামিন চাইতে পারবে না সেই তুফান সরকার

ছয় মাস জামিন চাইতে পারবে না সেই তুফান সরকার

এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে ধর্ষিতা ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় আলোচিত বগুড়ার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার দুদকের মামলায় আগামী ছয় মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবে না।

এই মামলায় তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দিয়েছে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন। আর তুফানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ আলম সরকার।

জামিন প্রশ্নে রুল জারি থাকা অবস্থায় ফের জামিন আবেদন করায় উচ্চ আদালত এই আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘গত বছর সেপ্টেম্বরে এ মামলায় তুফান সরকার হাইকোর্টের এই বেঞ্চে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। সে রুলটি বিচারাধীন থাকার পরও সেই তথ্য গোপন করে সম্প্রতি আবার তিনি জামিন আবেদন করেন। বিষয়টি নজরে আনলে আদালত তুফান সরকারের আগের আবেদনে জারি করা রুলটি খারিজ করে দেয়। এই মামলায় আগামী ছয় মাস তিনি আর কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না।’

তুফান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

মামলায় বলা হয়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ভাবে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা অর্জন করেছেন তুফান, যা তার আয়কর রিটার্নে তিনি দেখিয়েছেন। বাস্তবে তার আয়ের কোনো বৈধ উৎস ছিল না।

এ মামলায় বগুড়ার আদালতে জামিন চাইলে গত বছর ১৯ জানুয়ারি আদালত তা খারিজ করে দেয়। পরে সে আদেশের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন তুফান। পরে তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে।

রুল বিচারাধীন থাকার তথ্য গোপন করে গত ৯ মার্চ একই বেঞ্চে ফের জামিন আবেদন করেন তুফান।

দুদকের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন তথ্য গোপনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর এ আদেশ দিল হাইকোর্ট।

২০১৭ সালে এক ছাত্রীকে ডেকে এনে ধর্ষণ এবং পরে মাসহ সেই মেয়ের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করার ঘটনায় দুই মামলায় আসামি এই তুফান সরকার। তিনি ওই বছরের ২৯ জুলাই থেকে কারাগারে আছেন।

ধর্ষণের ওই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ জনকে এবং মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার মামলায় দণ্ডবিধিতে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। দুই মামলাতেই তুফান প্রধান আসামি।