বিস্ফোরণের ধরণ স্বাভাবিক নয় : বিস্ফোরক পরিদফতর

বিস্ফোরণের ধরণ স্বাভাবিক নয় : বিস্ফোরক পরিদফতর

রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণটির ধরন স্বাভাবিক নয় বলে বলে মনে করছে বিস্ফোরক পরিদফতর। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংস্থাটির প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বড় আওয়াজ ও এত ধ্বংসযজ্ঞ সাধারণভাবে ঘটনা ঘটে না। অসাধারণ এবং অন্য ধরনের একটি বিষয় জড়িত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মগবাজারে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার ঠিক পরপর রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেস এলাকায় ৭৯ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডের পুরনো একটি তিনতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটে। এতে মৃত্যু হয় সাতজনের, আহত আহত হয় ৫০ জনের বেশি মানুষ।

বিস্ফোরণের ধাক্কায় এর আশেপাশের এবং উল্টোদিকের রাস্তার পাশে সাতটি ভবন এবং দুটো বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিস্ফোরণ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে বিস্ফোরক পরিদফতরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এত বড় বিস্ফোরণ, বড় আওয়াজ এত ধ্বংসযজ্ঞ সাধারণভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। কোন বিস্ফোরণের জন্য এত বড় ক্ষতি হতে পারে না। বিগত দিনগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে যা দেখেছি, বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। মগবাজারের এই ঘটনাটির অনেক পার্থক্য রয়েছে।’

বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। অনুসন্ধান চলছে। তবে বিস্ফোরক পরিদফতরের পক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা দেখতে পেয়েছি, ভবনটিতে হাইড্রোকার্বনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। হাইড্রোজেন ও কার্বন পাওয়া গেলে এটাকে আমরা ধরে নিই ন্যাচারাল গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। ন্যাচারাল গ্যাস যেটা সরকারিভাবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে কানেকশন করা হয়ে থাকে।’

বিস্ফোরক পরিদফতরের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে কী ধারণা পাওয়া গেছে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু হাইড্রোজেন ও কার্বনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তাহলে ধরা যেতে পারে সেখানে ন্যাশনাল গ্যাসের লিকেজ থেকে ঘটনা ঘটেছে। ন্যাশনাল গ্যাস লিকেজের কোনো ঘটনা থাকতে পারে। বৈদ্যুতিক, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গ্যাস পাইপ লাইন লিকেজ, এ কারণেই ঘটনা ঘটুক না কেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

এমজে/