তাপসকে খোকন

কত পারসেন্ট ভোট পেয়েছেন মানুষ জানে

কত পারসেন্ট ভোট পেয়েছেন মানুষ জানে

আবার ঢাকা দক্ষিণের সাবেক ও বর্তমান মেয়রের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এবার মামলা সামনে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থপাচারের মামলাকে কেন্দ্র করে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপসের প্ররোচনায় দুদক আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তিনি বলন, ‘তাপস তার ব্যর্থতা ঢাকতে বারবার আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে। এখন দুদককে ব্যবহার করে মামলা দিয়েছে।’

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মেয়র তাপস কত পারসেন্ট ভোট পেয়েছেন এই শহরের মানুষ জানে।

তাপসকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যাইহোক ক্ষমতায় আছেন মানুষের কাজ করেন। আরে ভাই ঢাকার মরা লাশের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে ঢাকাবাসীর ভালোবাসা আশা করেন? আপনার ব্যর্থতার দায় ঢাকার জন্য আর মানুষ পান নাই। বারবার শুধু আমার ওপরই! কেন?

অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে আওয়ামী লীগের জন্য পরিবারের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন এসময়। বলেন, আজকে এই সময় দেখবার জন্য, আজকে এই অবস্থা কি দেখবার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলাম? আমরা জীবন দিয়েছিলাম। আজকে কি এই সময় দেখবার জন্য ত্যাগ করেছিলাম জাতির বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন রাখতে চাই। বিচার আপনারা করবেন।

নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার পেছনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিস ) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন খোকন।

তিনি বলেন, কারো ব্যর্থতা ঢাকবার জন্য আরেকজনের মাথায় কালিমা লেপন করে দেবে আমরা এটা মেনে নিতে পারিনা। আইনি মোকাবিলা করবো, সাথে সাথে ঢাকাবাসীকে নিয়ে প্রয়োজন হলে আরেকবার সংগ্রাম হবে।

ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, মা ফাতেমা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা আলম ও বোন শাহানা হানিফের আটটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) নির্দেশ দিয়েছে বিচারিক আদালত।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার এ আদেশটি দেন। দুদকের আদালত পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মামলার অনুসন্ধান চলাকালে দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ রোববার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছে। যে ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার মধ্যে সাঈদ খোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

এ ছাড়া তার মা ফাতেমা হানিফের একটি, বোন শাহানা হানিফের দুটি ও স্ত্রী ফারহানা আলমের দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, ‘ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক ও বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনো বৈধ উৎস থাকা অসম্ভব এবং সন্দেহজনক।

‘তাই অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে যেন অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাংক হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।’

আবেদনে আরো বলা হয়, ‘অভিযুক্তরা ওই ব্যাংক হিসাবের অর্থ স্থানান্তর করতে চেষ্টা করেছেন, যা তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি পর্যন্ত না হওয়া পর্যন্ত এসব অস্থাবর সম্পত্তি স্থানান্তর বা হস্তান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি হবে।’

এমজে/